চা শ্রমিক বিষয়ে ব্রাত্য রাইসুর লেখাটা পড়লাম। ৩০০…

চা শ্রমিক বিষয়ে ব্রাত্য রাইসুর লেখাটা পড়লাম। ৩০০ টাকা এক্টিভিস্টেরা মনে করেন এই টাকায় উন্নীত হইলেই সমাধান, রাইসুর কথা, এই টাকা না, অপশনালিটি গুরুত্বপূর্ণ।

কেরিয়ার নিয়া পরামর্শে এই বাস্তব পরামর্শই পাবেন বুদ্ধিমান লোকদের কাছ থেকে। অপশনালিটি বাড়ান। আপনার কাছে যত বেশি অপশন থাকে, তত আপনার ফ্রিডম থাকবে, বারগেইনিং পাওয়ার বেশি থাকবে, ফলে টাকাও বেশি আর্ন করতে পারবেন।

চা শ্রমিকরা বাঙালী না, তাদের প্রতি একটা রেসিজম কাজ করে। এখন এটা স্পষ্ট নয়, কিন্তু যদি তারা অন্য পেশায় যেতে শুরু করে, তখন দৃশ্যমান হবে। এই সমাজ মুচিরে প্রজন্মান্তরে মুচি দেখতে চাওয়া সমাজ। আর বাস্তবিক স্বার্থ তো আছেই, চা শ্রমিক না থাকলে চা খাব ক্যামনে? বা ৫ টাকার চা ৩০ টাকা দিয়া কি খাব? আন্দোলন ততোক্ষণই সুন্দর যতক্ষণ নিজের পকেট থেকে অতিরিক্ত ২৫ টাকা চায়ের কাপে মিশে না যায়।

বর্তমান বিবেচনায় আমি চা শ্রমিকদের আন্দোলন সমর্থন করি। এখন তারা ২০০ না ৩০০ চাইতেছে, তাদের বিবেচনা। এবং লং রানে তাদের অবস্থার উন্নয়নের জন্য, অপশনালিটিতে নজর দিতে হবে।

যত কম অপশানিলিটি, আপনে তত বেশি দাস। কেবল চা শ্রমিকের জন্য না, সবার জন্যই।

মুরাদুল ইসলাম