এখন আজকের ক্লাসে, আমি আপনাদেরকে বুঝাব ফ্র্যাজাইল্টি, রবাস্টনেস ও এন্টি-ফ্রাজাইলিটি বিষয়ে। বাস্তব উদাহরণ দিয়া, জীবনেও ভুলবেন না।

ধরেন, ফেসবুকে আপনারে কেউ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ এটাক করল। আপনি এতে আহত হয়ে গেলেন। সে যেইজন্য এটাক করছে, ওইটা করা বাদ দিলেন। এইখানে আপনি ফ্র্যাজাইল।

ফ্র্যাজাইলের উদাহরণ, কাচের গ্লাস, হাত থেকে পড়লে বা প্রেশারে ভেঙ্গে যায়।

আবার, ওই এটাকের পরে, আপনার গায়েই লাগল না। না লাগা ঠিকই আছে। কোথাকার কোন লুজার কোন এক লুজার বাস্তবতা থেকে দেখছে, বুঝছে, তার মত করে এটাক করছে, এতে স্বাভাবিক ভাবেই আপনার গায়ে লাগার কথা না। এই বোধ থাকলে আপনি রবাস্ট। আপনি ওই কাজ ঠিকই করে যাইতে থাকলেন।

এর উদাহরণ, লোহার গ্লাস, হাত থেকে পড়লে ভাঙবে না। তার গায়ে লাগে না।

তিন নাম্বার ও স্পেশাল, এন্টি-ফ্র্যাজাইল। ওই এটাক বা গালি, প্রথমত আপনার গায়ে লাগল না। কিন্তু আপনি এইখানে অপরচুনিটি দেখলেন। এই গালি বা এটাকরে আপনি ব্যবহার করে নিজের মার্কেটিং করলেন, তার সাথে খেলা শুরু করে দিলেন, এটাকটারে অন্য মাত্রায় নিয়া গেলেন, যেটা যে গালি বা এটাক দিছে সে তার চৌদ্ধ জন্মেও কল্পণা করতে পারে নাই। যে মাত্রায় আপনি নিয়া যাইতে চান, যেভাবে শেইপ দিতে চান, দিলেন। উপযোগ বের করে নিলেন। এইটা এন্টি ফ্র্যাজাইল।

প্রেশারে, ক্যাওসে, ভলাটিলিটিতে, ভুল, ব্যর্থতা, আক্রমণ থেকে যে উলটা বেনিফিটেড হয়।

মুরাদুল ইসলাম