সলিমুল্লাহ খান যে কইছেন চমস্কি ভাষার কিছু বুঝেন না, এইটা বিষয়ে কিছু উষ্মা দেখলাম।

যেন চমস্কি ভাষার সব বুঝে আছেন, এবং খান কেন চমস্কিরে এই কথা বললেন, তাও সবাই বুঝে গেছেন। এত বুঝদারেরা আবার অবাক হইয়া গেছেন।

আমার এই বিষয়ে “বুঝা” টা হইল, সলিমুল্লাহ যে এই কথা বলবেন, এইটা তিনি না বললেও ‘বুঝতাম’ যে এইটাই তার বক্তব্য।

ছফা কানেকশনের জন্য, ছফা এইখানে আসেনই না।

খান হইলেন লাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, আর চমস্কি প্রকাশ্যে লাকার বিরুদ্ধে বলেন। দেরিদা, লাকা, ফুকো, ক্রিস্টেভা এমনকী সাম্প্রতিক জিজেককেও তিনি এটাক করছেন। এদের এবং তাদের অনুসারীদের তিনি ধর্মীয় কাল্টের সাথে তুলনা করে কথা বলেন। লাকার হাত নাড়ানাড়ি, কঠিন অপরিচিত শব্দ ব্যবহার এগুলা নাকি সাধারণ আইডিয়ারে পণ্ডিতি আইডিয়া হিশাবে দেখানোর প্রয়াস। নোম চমস্কি অভিযোগ করেন উল্লিখিত ব্যাক্তিরা ক্লাসিকের মিসরিড করে উলটা পালটা তত্ত্ব দেন। তিনি আরো বলেন, থিওরির সেন্সে এদের কথায় কোন “থিওরিই” নাই, এম্পটি পশ্চারিং। ফুকোর লগে তার বিখ্যাত বিতর্ক আছে, পরে তিনি তারে বলছিলেন তার দেখা ডিপলি আনেথিক্যাল ব্যক্তি।

চমস্কির যে ইউনিভার্সাল গ্রামার থিওরি, কন্টিনেন্টাল ফিলোসফাররা তো এই লাইনের লোক না, তারা ভাষারে এইভাবে দেখে না। চমস্কির এই তত্ত্ব একমাত্র সঠিকও না।

ফলে খান এই দাবি যে করবেন, তা তো স্বাভাবিকই। তিনি দাবিটায় যদি বলতেন, সাইন্টিফিক আমেরিকানে যেমন কইছিল, এভিডেন্স দেখায় চমস্কির ইউনিভার্সাল গ্রামারের তত্ত্ব ভুয়া, তখন পাবলিকের আপত্তি থাকতো না।

খানের বিষয় হইল, তিনি পণ্ডিতি আলাপে অপণ্ডিত মার্কা কথা বলেন প্রায়ই, এগুলা প্রচার পায়।

এটা যে খানের একা বিশেষত্ব এমন না, যেমন চমস্কি যে শারলাটান বলছিলেন লাকাদের, ওইটা এমনই বক্তব্য ছিল।

এগুলা বুদ্ধিজীবীতার জন্য ভালোই।

মুরাদুল ইসলাম