সম্প্রতি বইমেলা থেকে মুশতাক দম্পতিকে বের করে দেওয়াটা কি এক ধরনের ফ্যাসিবাদী আচরণ নয়? যারা প্রতিনিয়তই ফ্যাসিবাদ বিরোধিতার ধুয়া তুলেন তারাও তো ফ্যাসিস্ট আচরণ করেন। এটা নিয়ে কয়েকদিন আগে আপনার একটা লেখাও পড়েছিলাম। তো এই ফ্যাসিবাদ বিরোধি ‘ফ্যাসিস্ট’দের কে কীভাবে প্রকৃতই ফ্যাসিবাদি আচরণ সম্পর্কে জ্ঞাত করানো যায়?

উত্তর

জ্ঞাত করা সম্ভব না।

কারণ,

বেশীরভাগ বাঙালী বুদ্ধির দিক থেকে খুবই নিম্নমানের। মসলোর হায়ারার্কি অব নিডের নিম্নতম স্তরে কাটে এদের জিন্দেগী। গ্রামের অশিক্ষিত হোক, বা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, গড়পড়তা, তারা এইরকম।

তাই, তাদের কাজের কার্যকারণ দুইটা, ফিয়ার অথবা লোভ। মুশতাক তিশারে তারা দেখতে পারে না ফিয়ার থেকে, তাদের সমাজ নষ্ট হয়ে যাবে। এখান থেকে আসে ঘৃণা।

এই মুশতাক আর তিশা যদি ক্ষমতাসীন দলের বড় কেউ হইত, তাহলে আক্ষরিক অর্থে তারা এদের আব্বা আম্মা ডাকতো।

এই পূর্ব বাংলার লোকেদের মানসিকতা তৈরি হইছে তাদের ইতিহাস থেকে। টিকে থাকার চালাকি তারা জানে, এইগুলারে তারা বুদ্ধি ভাবে, কিন্তু চিন্তার উতকর্ষতার লগে তারা পরিচিত নয়। ফলে মানবাধিকার, গণতন্ত্র এই সেই, এইসব কথা তারা বুঝে না, পক্ষে গেলে সাপোর্ট করে, পক্ষে যাবার অর্থ এখানে তার কোন স্বার্থ থাকলে।

আমি কইছিলাম, বাঙালী টিকে থাকে কিন্তু উত্তরিত হয় না। এই কথাই এদের ইতিহাস, এবং এদের নিয়া ডেলফির মন্দিরের ভবিষ্যতবাণী।

ইতিহাসে দেখবেন যখন তাদের জীবন বিপন্ন হইছে, তখন দেয়ালে একেবারে পিঠ ঠেকছে তখন তারা প্রতিবাদ করছে। এই প্রতিবাদ কোন আদর্শের জন্য না, টিকে থাকার জন্য।

সার্ভাইভালই তাদের কাছে মূল, আগেও ছিল, এখনো তাই। তাই এদের মিনিংফুল শিল্প সংস্কৃতি পলিটিক্স পলিসি মোরালিটি আদর্শ কিছুই নাই।

মুরাদুল ইসলাম