মানুষের বিয়া শাদীর বিষয়টা নিয়া ভাবা যায়। মুশতাক ও তিশার বিয়া প্রসঙ্গেই।

বিয়া কারে মানুষ করে?

যারা বাপ মা পরিবার ঠিক করে দেয়, তারেই তো করে।

লাইন মাইরা বিয়া করা যাবে না, পিরিত করা যাবে না, এইটাও এক নিয়ম, এখন এই নিয়ম অনেকটা দূর্বল বাট আছে। বিয়া করবে বাপ মায়ের পছন্দে, আর বাপ মায়ের পছন্দ আবার সমাজের পছন্দ। অর্থাৎ বিয়া খান করতে হয় সমাজের পছন্দে।

সেইক্ষেত্রেও নিয়ম, পোলার বয়েস বেশি হইলে ঠিক আছে, মেয়ের বয়স অল্প কম হইতে হবে। আবার বেশি কম হইলে হবে না। কোনোমতেই মেয়ের বয়স বেশি হওয়া যাবে না। পোলার বিয়া আরেকটা থাকলে তাও মানা যায়, মাইয়ার আগে বিয়া আছিল, এইটা মানা যাবে না। মানে, সমাজের চোখে এইগুলা বেমানান, তাই মানুষ খিয়াল রাখেন সমাজের চোখে যেন দৃষ্টিকটু না হয়।

যদি সমাজের পছন্দে না করেন তাহলে কিন্তু শাস্তি আছে।

সমাজ হাসবে, টিটকারি দিবে।

এগুলা কিন্তু তার শাস্তি। যেমন মুশতাক তিশারে নিয়া তারা করে। এর উদ্দেশ্য, যাতে আর এমন কেউ না করেন।

তুমি একটা ব্যক্তি, সারাজীবন একজন লোকের সাথে থাকবা, তার সাথে সব কিছু শেয়ার করবা, সেইটাও ঠিক করে দিতেছে সমাজ। তার ক্রাইটেরিয়ার ভেতরে অবশ্য অপশন দিয়া রাখতেছে।

বিয়া যদি নাও করেন, সেইখানেও তার সমস্যা আছে, তারে তখন প্রমাণ দিতে হবে আপনি *** পারেন কি পারেন না। বিয়া করার পরে বাচ্চা না হইলেও জিজ্ঞাসাবাদের মুখামুখি।

এইটা একটা এবসার্ড হাইস্যকর জিনিশ। এটা লেখতে লেখতে হাসতেছি। সাধারণ সিম্পল লজিকে, বয়স তো বিষয়েই না, কোন এডাল্ট ব্যক্তির বিচারে যদি মনে হয় তার জন্য আরেক এডাল্ট ব্যক্তি ভালো সে তারে বিয়া করতেই পারে।

আসলে খালি বিয়া না, সব জায়গাতেই, জন্ম থেকে একেবারে মরার পরে ক্যামনে সৎকার হবে, সেইটাও সমাজ ঠিক করে দেয়। ইভেন, মরার পরে যদি ভূত হন, সেইটাও ঠিক করা আছে কেমন ভূত হবেন, ব্রাহ্মণ যুবক অবিবাহিত মইরা গেছেন হবেন ব্রহ্মদৈত্য, মুসলমান মইরা গেছেন হবেন মামদো ভূত, যে লুঙ্গি পরে, খালি গা, মাথায় চুল নাই।

এইগুলা মাইনা নিয়া বেশীরভাগ মানুষ হাসিমুখে অভিনয় করে যায় লাইফের, আর আমরা মাঝে মাঝে, তাদের সেই ফেইক হাসির ক্র্যাকগুলার ভিতর দিয়া দেখতে পাই হতাশা।

নিজের জিন্দেগী যাপন করো।

মুরাদুল ইসলাম