আমাদের যে দুশ্চিন্তা হয় তা কেবলমাত্র ভিতর থেকে আসে এমন হয় না। খেয়াল করলে দেখবেন, প্রায় সব দুশ্চিন্তাই বাইরে থেকে উৎপন্ন, বাইরে দ্বারাই শক্তিশালী হয়। বাইরে বলতে চারপাশের মানুষদের থেকে, আমরা যাদের দেখি।

কারো গাড়ি বাড়ি কেরিয়ার নিয়া দুশ্চিন্তা, কারণ সে দেখতেছে তার মত অন্যরা এই গুলা “সুনিশ্চিত” করে ফেলতেছে, সে পারতেছে না। ফলে, তার উপর সে একটা চাপ অনুভব করে। এটাও তার পরিবার, পরিচিতদের চাপ।

মানুষের স্বাধীন লাইফ যাপন করার উপায় হইল অন্যের আশা অনুযায়ী না চলা সর্বক্ষেত্রে। এই হিশাবে স্বাধীন লোক আপনে দেখবেন না। একটাও পান কি না সন্দেহ আছে। অন্যের আশা অনুযায়ী চলতে গিয়া অন্যদের তো আর তুষ্ট করা যাবে না, এত এত মানুষদের কে কবে তুষ্ট করতে পেরেছে? ফলে হতাশাই প্রাপ্তি হয়।

মাঝখান দিয়া ব্যক্তি হইয়া যায় অন্যদের দাস। আবার সেই অন্যরাও আবার অন্যদের দাস। তারা পরস্পরের দাস হইয়া, পরস্পরের স্বাধীনতা লিমিট কইরা, নিজেদের পূর্ণ পটেনশিয়ালে না গিয়া, পরস্পর হিংসা বিদ্বেষ প্রতিযোগিতার এক হতাশ জিন্দেগী যাপন করে যায়।

মুরাদুল ইসলাম