মুখস্তবিদ্যার বিরুদ্ধে যে যুদ্ধংদেহী মনোভাব দেখি, যেন মুখস্তবিদ্যা এক গর্হিত পাপ, এমন কখনোই নয়। বরং এই মনোভাব ক্ষতিকর হবে ছাত্রছাত্রী এবং অন্যান্যদের জন্য, যারা মানবে এটারে।

মানুষের ইতিহাসে মুখস্তবিদ্যারে বড় এবং দরকারী স্কিল হিশাবেই দেখা হইছে। এই আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্সের যুগেও দরকারী থাকবে।

এই ঘটনা অনেকে পড়ে থাকবেন। প্রাচীন গ্রীসে একবার এক থিয়েটারে লেকচার দিতেছিলেন বিখ্যাত কবি ও ওরাটর সাইমোনিদেস। তিনি চলে যাবার পর হঠাত ভবন ধ্বস। সবাই মারা যান। তাদের চেহারা বদলে যায় যে, কে কোন ব্যক্তি চেনা যাচ্ছিলো না। তখন সাইমোনিদেসকে ডাকা হয়, তিনি তার স্মৃতি থেকে বদলে দিয়েছিলেন কে কোথায় বসেছিল।

তিনি যে টেকনিক ব্যবহার করতেন, সেইটাই ফিকশনাল ক্যারেক্টার শার্লক হোমস ব্যবহার করতেন, যার নাম মেমোরি প্যালেস। আমি যে সেকন্ড ব্রেইনের কথা বলি, সেটার এক মস্তিষ্ক রূপ এই মেমোরি প্যালেস, মূলত সেকন্ড ব্রেইন এরই অনুকরণ।

মেমোরি প্যালেস খুবই পাওয়ারফুল ও কাজের। থিংকিং এর একটা ধাপ হচ্ছে দ্রুত ডট কানেক্ট করতে পারা। আপনার মেমোরি প্যালেসে যত তথ্য, ইনসাইট থাকবে, তত দ্রুত আপনি ডট কানেক্ট করতে পারবেন, ও দেখতে পাবেন, অন্যে যা দেখে না তা।

মুখস্ত বিদ্যা তথা স্মৃতিতে রাখার এই বড় দক্ষতা অর্জন করা যায়। অনেকের খুব বাজে মেমোরি ছিলো, তারা মুখস্ত করতে পারতেন না, কিন্তু ঠিকমত ট্রেইনিং ও পরিশ্রমের মাধ্যমে স্মৃতিতে রাখায় সেরা হয়ে উঠেছিলেন। মুনওয়াকিং উইথ আইনস্টাইনের লেখক জশুয়া ফয়ার এমন, তিনি পরে হয়েছিলেন মেমোরি চ্যাম্পিয়ন।

আগেই মুখস্তবিদ্যারে গর্হিত অপরাধের মত ধরে নিলে ও দেখতে থাকলে লাইফে বড় ধরাই খাবেন

মুরাদুল ইসলাম