বাংলাদেশী মিডিয়া, প্রতিষ্ঠিত বইয়ের দোকান বা এলিট কালচারের কলকাতা মুখীতার কেন্দ্র হচ্ছে এই ধারণা যে বাঙালীর মুক্তি শুরু বেঙ্গল রেনেসান্স থেকে।

ওই সময়ের আলোকায়নে কলকাতা আলোকিত, এবং বাংলাদেশরে আলোকিত হইতে হলে সেই আলো নিতে হবে।

এই জন্য আলোকিত মানুষ গড়ার কারিগর বলে নন্দিত অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদ বলছিলেন, হিন্দুরা চলে যাবার সাথে সাথে এ অঞ্চল থেকে আলোও চলে যায়।

“১৯৬৫ সালের আগে ছিল হিন্দুরা। বাঙালি রেনেসাঁর এক ধরনের আলো তখনো তাদের মধ্যে ছিল। অস্তায়মান আলো আমরা তখনো তাদের মধ্যে পাই।” – আ আ সায়ীদ।

তাই, আলোর জন্য তারা ঠিক করলেন তাকাবেন আলোর উৎসের দিকে। তাদের জন্য সেটা কলকাতা।

এই কালচারাল মাইন্ডসেটরে প্রশ্ন না করে অবস্থা বদলানো যাবে না।

আলোর জন্য আমাদের এখন কলকাতারে লাগে না। বিশেষত আমার জেনারেশন থেকে, ইন্টারনেট প্রযুক্তির কারণে আমরা গ্লোবাল আর্ট কালচারে সরাসরিই কানেক্টেড হয়ে গেছি শুরু থেকে। পরের জেনারেশনগুলা আরো বেশি হচ্ছে।

কলকাতার দিকে আমাদের তাকাইতে হয় না।

আমরা যত বেশি গ্লোবাল হব, ততো বেশী বাংলাদেশী লোকাল হয়ে উঠব দিনশেষে

মুরাদুল ইসলাম