এমনিতেই সমাজে চুরিবিরোধী যে মোরাল অবস্থান আছে মিডলক্লাসের, এটারে খেয়াল করা দরকার। আইনি না, নৈতিক অবস্থানটা।

ছিচকে চুরির কথা বলতেছি। বড় চুরি যেসব আছে, কাগজে কলমে করা হয়, এগুলারে মানুষ নৈতিক ঘৃণা করে না, যেমন একটা ছিচকে চোরের ক্ষেত্রে হয়ে থাকে। কাগুজে চোরদের চোরও ঠিক বলা হয় না। তারা নানারকম অফিসার হয়ে থাকেন, তাদের চুরি প্রকাশিত হলে মানুষের ক্ষোভ, হিংসা, আক্ষেপ, লোভ হয়।

মানুষ ছিচকে চুরি করতেছে, এটা একটা সাইন সমাজে ইনজাস্টিস আছে। হয়ত কিছু মানুষের হাতে সম্পদ, কিছু মানুষের হাতে কিছু নাই। অনেকে শখেও চুরি করতে পারে, কারো ক্ষেত্রে মেন্টাল ডিজওর্ডারের মত হয়ে যাইতে পারে, যেমন চুরির নিশা। কেন চুরি খারাপ, বলার চাইতে জিগান, কেন চুরি করতেছে।

ইভেন, কাগুজে চোরদের ক্ষেত্রেও যদি এই প্রশ্ন করা হইত, কেন করতেছে চুরি, তাহলে হয়ত প্র্যাক্টিক্যাল সমাধান মিলতো। এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়া পাওয়া যাইত বিদ্যমান সিস্টেমের সমস্যাগুলি, যা কাগুজে চুরি হইতে দিচ্ছে।

অন্য অনেক ক্রাইমের চাইতে ছিচকে চুরিতে নৈতিক দিক থেকে ঘৃণা বেশি দেয় মধ্যবিত্ত।

এখানে মিডলক্লাস এলিটের চামচা হয়ে কাজ করে।

সমাজে অনেক দারিদ্র থাকলে, এলিটেরা এই সমস্যারে আর্জেন্ট সমস্যা মনে করবে না, যদি না এই দারিদ্র তাদের জন্য কোন থ্রেট নিয়ে আসে। বাংলাদেশের এলিটরা দেশের দারিদ্র্য নিয়ে কী ভাবে এই বিষয়ে এক রিসার্চে পড়লাম, এলিটেরা দেশের দারিদ্র্যকে নিজেদের জন্য থ্রেট মনে করে না। এবং দারিদ্র্যতার সমস্যারে আর্জেন্টও মনে করে না। দারিদ্রতা নিরসনে সরকারের সরাসরি কার্যক্রম তারা সমর্থন করে না। দেশের গরীবদের তারা নৈতিক গরীব মনে করে।

সম্ভবত, এলিটদের চামচা মিডলক্লাস গরীবদের চাপ দিয়া নৈতিক করে রাখছে।

মুরাদুল ইসলাম