বাংলাদেশ থেকে যারা ইউরোপ আমেরিকায় বাস করতে যায়, এরা কম্যুনিটি সমাজ থেকে সোসাইটি সমাজে প্রবেশ করে।

কম্যুনিটি সমাজে একে অন্যের সাথে যোগাযোগ খুব জরুরী। প্রতিবেশীরে আপনার জানতে হবে। কারণ বিপদ আপদে তার সাহায্য দরকার হবে। ঘরে আগুন লাগলে সে এগিয়ে আসবে।

অন্যদিকে, সোসাইটিতে আপনার বিপদ আপদ হইলে সরকার সাহায্য করতে এগিয়ে আসবে। প্রতিবেশীর দরকার হবে না।

কম্যুনিটি সমাজ থেকে আসা বাংলাদেশীরা এই ট্রাঞ্জিশন ধরতে পারে না। সরকারের সুবিধাতে মুগ্ধ অবস্থায় তার মনে হয় আর মানুষের সাথে সম্পর্ক রাখার ঝামেলার দরকার নাই।

তিন স্তরে তাদের কানেক্ট না করতে পারার সমস্যা হয়। এক, তাদের এলাকায় থাকা অন্য বাংলাদেশীদের সাথে কানেক্ট করতে পারে না। দুই, বিদেশীদের সাথে, তাদের কালচারে কানেক্ট করতে পারে না। তিন, বাংলাদেশেও তেমন কানেক্ট করতে পারে না।

ফলে, এরা কম্যুনিটির টাচ হারায়। কিন্তু এইটা মানুষের এক বেসিক নিড। একসময় ফিল করে এর দরকার। তখন নানা সমিতি ইত্যাদি করে, ভাবে এইভাবে কম্যুনিটির টাচ আনবে। কিন্তু এইগুলা কাজ করে না, কারণ এটা ভুল চিকিৎসা।

ফল হিশাবে লোনলি, মিনিংলেস লাইফ কাটায়। একসময় কেউ অতিরিক্ত শো অফে অর্থ খুঁজে, কেউ ফিরে যায় অত্যধিক ধর্ম কর্মে।

বাংলাদেশী কয়েক প্রজন্ম পরে এই দশা কাটিয়ে উঠবে। কারণ ইউরোপ আমেরিকায় জন্ম নেয়া তাদের নাতি নাতনিরা সোসাইটির সীমাবদ্বতা বুঝতে পারবে আশা করা যায়, এবং তারা কালচারের সাথেও একাত্ম হতে পারবে।

মুরাদুল ইসলাম