কীভাবে আমি একজন জিন্দাপীর বা রোনিন হইয়া গেলাম, বা এই পীরাকীটা কীভাবে আসলো এটা অনেকে জিজ্ঞাস করেন। তারাও এটা পাইতে চান।

আমিও অন্য সবার মতোই হতবুদ্ধি ছিলাম সাহিত্য সমাজ লাইফ ইত্যাদি নিয়া। কিন্তু আমার কোয়েস্ট সব সময় সৎ ছিল, যেইরকম বড় লেখকদের পড়ার সময় আমার ফিল হয়, তাদের কোয়েস্ট সৎ, অর্থাৎ তারা যা করতেছেন তা সৎভাবে করতেছেন, তাদের অন্বেষণ সৎ। এইটা হইলেই ওই লেখকরে ভালো লাগে, তিনি সত্য পাইলেন কি না, সব সময় লজিক্যাল কি না, তা দেখি না।

আমি কখনো কোন গ্রুপে থাকি নাই, কারণ গ্রুপের পারস্পারিক যে স্তুতিমূলক সামাজিকতা, তা কুৎসিত ঠেকত। এটা অনেক কাজে দিছে। ওইসময় ব্লগ ছিল লেখার প্ল্যাটফর্ম। যেকোন দলে ঠিকঠাক মিশতে পারলে একটা হাই রিস্ক ছিল বনসাই থেকে যাবার, এটা ফীল করি।

এই সময়ে আমারে হেল্প করছেন সোরেন কীয়ের্কেগার্ড নামে একজন ডেনিশ দার্শনিক। ঘটনাক্রমে আমি তার সম্পর্কে জানতে শুরু করি। কীভাবে ক্রাউডরে অবিশ্বাস ও ঘৃণা করতে হয়, এবং কীভাবে নিজে হইয়া উঠতে হয়, এই শিক্ষাই আমি তার কাছ থেকে পাই।

আমার চিন্তা করার অল্প অল্প দক্ষতা জন্মে। এইটা এক নতুন চোখের মত। আপনি তখন জিনিশগুলার ভেতরে কী আছে তা দেখতে পারবেন। কে গাড়ল আর কে জ্ঞানী, বুঝতে বেশি সময় লাগবে না। তখন ফিল্টারিং আরো সহজ হয়।

এই যাত্রায় আমারে হেল্প করছেন দুনিয়াতে জন্ম নেয়া আমার অনেক জ্ঞানী ভাই ও বইনেরা। তারা নানা দেশে, জাতিতে, কালচারে জন্মেছিলেন। আমি সেই সময় থেকে এখন পর্যন্ত প্রতিদিন এক বড় অংশ তাদের সাথে কাটাইতে পছন্দ করি।

জ্ঞানের কম্পাউন্ড ইন্টারেস্টে আমি ধনী হইয়া গেছি।

মুরাদুল ইসলাম