এই অঞ্চলের মানুষেরা প্রজা মানসিকতার। প্রান্তিক, এরা কখনো নিজেদের শাসন করতে পারে নাই। প্রান্তিক প্রজার মত তারা সব দেখে।

দুনিয়া নিয়ে মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি ক্যামন হবে তা নির্ধারণ করে তার ইতিহাস। প্রান্তিক থাকার যে স্মৃতি, অল্প রিসোর্স নিয়া কামড়াকামড়ি করাই ছিল টিকে থাকার উপায়। এটা তৈরি করেছে এ অঞ্চলের মানুষের মানসিক গঠন। এইজন্য ধান্দাবাজি, বাটপারি বেশি প্রচলিত, কমন বেসিক সততাও মানুষ দেখাইতে চায় না, ধান্দাবাজিরে উদযাপন করে।

এই অবস্থায় ভালো কোন প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠবে না। ভালো মানসিকতার লোকেরা কোণঠাসা থাকবে বা আপোষ করতে বাধ্য হবে। ব্যাড মানি গুড মানিরে তাড়াইয়া দেয়।

সস্তা এক্সপ্লয়টেশন নির্ভর শ্রম বাণিজ্যে টাকা আসলেও লাভ হবে না দেশের। ব্যাংক ডাকাতি হবে, টাকা পাচার হবে। কারণ সম্পদ কখনো সিভিল সোসাইটি তৈরি করতে পারে না, এবং এই ভদ্র সমাজ ছাড়া সম্পদশালী হতে পারে না দেশ। সিভিল সোসাইটি লাগে দেশে ওয়েলথ তৈরি হইতে।

বিচার, আইন, ইত্যাদি সব জায়গার প্রতিষ্ঠানে ঢুকে যাবে ধান্দাবাজি, কারণ এই মানুষদের কাছে লাইফ জিরো সাম গেইম। তার জিততে হলে অন্যরে হারতে হবে। একইভাবে অন্যের জিতরে সে দেখবে নিজের হার হিশাবে। এই সামাজিক বাতাবরণের যে রিসেন্টিমেন্ট/ প্যাসিভ ঈর্ষা তাড়িত কালেকটিভ আনকনশাস তৈরি হইছে, এখান থেকে প্রতিভাবান মানুষদের নারচার করা, কম প্রতিভাবানদের যোগ্য করে তোলা, অনেক কঠিন।

মুরাদুল ইসলাম