কোন ঘটনা কীভাবে ঘটেছিল তা এক জিনিশ, এবং কীভাবে উপস্থাপিত হচ্ছে তা আরেক জিনিশ। উপস্থাপিত ঘটনা ঐ আগে ঘটে যাওয়া ঘটনা না, উপস্থাপিত হতে থাকা নিজেই একটা ঘটনা। তাই কীভাবে উপস্থাপিত হচ্ছে, এর উদ্দেশ্য কী, ইমপ্যাক্ট কী হবে, এইসব বিবেচনায় নিতে হয় আলাপের সময়।

যেমন এই যে গল্প ছফার খালেদা জিয়ার সাথে ফোনালাপের গল্প, নূরুল আনোয়ারের লেখায় আরেকটা অংশ ছিল ঠিক পরপরই, যেখানে তিনি খালেদা জিয়ার প্রশংসা করেছিলেন। বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে ফেসবুকে, ও নানা সাইটে এই গল্প যখন ভাইরাল হয়, তখন ঐ অংশটা বাদ দিয়ে হয়।

ওইখানে ছফার প্রতিক্রিয়া প্রকাশে নূরুল আনোয়ার লিখেছেন, “তিনি বেগম জিয়ার ব্যবহারে মুগ্ধ হয়ে বারবার বলে যাচ্ছিলেন, ভদ্রমহিলার তারিফ না করে পারা যায় না। তিনি আশ্চর্য রকম বিনয়ী।”


এবং খালেদা জিয়ার বিনয়টাও যে ‘সাহিত্যিক’ ছিল এটাও না। খালেদা জিয়ার তখন ছফার মত বুদ্ধিজীবীদের খুব দরকার ছিল, যারা লিবারেল, ভারত বিরোধী এবং মুক্তিযুদ্ধের বিদ্যমান ন্যারেটিভকে প্রশ্ন করেন। সেই জায়গা থেকে তিনি ছফাকে সম্মান দিয়েছিলেন। এই উদ্দেশ্য থাকলেও বেগম জিয়ায় উদারতা কমে না এখানে।

মুরাদুল ইসলাম