অনেককেই দেখি নানা কারণে ফেসবুকে প্রার্থনা করেন। কিন্তু যার কাছে প্রার্থনা করা হয় তিনি ফেসবুক করেন তো

– কলকাতার অভিনেতা Ritwick Chakraborty

হোমপেইজে ভাসতে দেখলাম এই পোস্ট। এইখানে ঋত্বিক যে সমালোচনা করতে চাইছেন, বা যারা কৌতুকে শেয়ার দিতেছেন এইভেবে যে প্রার্থনা যারে উদ্দেশ্য করে করা হয়, আল্লাহ ভগবান ইত্যাদি, তিনি ফেসবুকে থাকেন না। ধর্মীয় দিক থেকে এটা ভুল অবস্থান। আল্লাহ ভগবান সর্বত্রই থাকেন, ফেসবুকে আছেন অবশ্যই, ওই কোডগুলার মধ্যেও আছেন। তাই ফেইসবুকে প্রার্থনা করলে তিনি অবশ্যই দেখবেন।

ফেসবুকে প্রার্থনা, ধর্ম নিরপেক্ষ দিক থেকেও ভালো বিষয়। কারণ গডরে ডাকলে তিনি ফিরে তাকান না, কিন্তু মানুষেরা ডাকলে তাকায়। ঐ ব্যক্তির প্রার্থনা দেখে কেউ সাহায্যে এগিয়ে আসতে পারেন। ধর্মপন্থীরা যেটাকে বলবেন, ঐ মানুষের মাধ্যমেই গড ডাকে সাড়া দিছেন। হতে পারে।

এছাড়াও, প্রকাশ্য প্রার্থনা ব্যক্তির জন্য মানসিক ভাবে ভালো হতে পারে। প্রার্থনা যখন কেউ করে, একদিক থেকে ধরা যাক খুব খারাপ অবস্থায় সে আছে তাই করতেছে। এটা তারে মানসিক ভাবে হেল্প করতে পারে ওই খারাপ অবস্থার সাথে মানাইয়া নিতে। প্রকাশ্য প্রার্থনার মাধ্যমে সে আসলে অন্য মানুষদের সাথে যোগাযোগ করল।

অন্যদিক থেকে, ধরা যাক, কেউ নিজের গিল্টি ফিল থেকে ফেসবুকে ধর্মভাব দেখাইতে চায় প্রার্থনা করে। এটাও তারে হেল্প করে নিজেরে নিয়া সারভাইভ করতে অর্থাৎ গিলটি ফিল কমাইতে।

অথবা কেউ কেউ প্রার্থনা করতে পারে শো অফের জন্য। দামী গাড়ি কিনছে, ফেসবুকে এক প্রার্থনা করে ফেললো কৃতজ্ঞতা জানাইয়া। এটার মাধ্যমে একইসাথে অন্যদেরও দেখানো হইল তার গাড়ি কিনার ব্যাপারটা, যেটা না দেখাইতে পারলে মানসিক যাতনায় সে মৃতপ্রায় হয়ে থাকতো।

মুরাদুল ইসলাম