আল ফারাবিরে নিয়া পড়তে গিয়া আবু জাঈদ আল বলখীর ব্যাপারে জানলাম। ইনি ছিলেন পারস্যের একজন পলিম্যাথ। জন্ম ৮৫০ সালে।

সাইকোলজি, সাইকোথেরাপি বিষয়ে লেইখা গেছেন ওই সময়েই।

তিনি ডিপ্রেশনরে তিন ভাগ্যে ভাগ করছিলেন।

একটা প্রতিদিনের সাধারণ ডিপ্রেশন, হুজন।

আরেক ধরণের ডিপ্রেশন শরীরে তৈরি হয় তিনি বলছিলেন, যেটারে এখন আমরা জানি জেনেটিক বা শারীরিক বিভিন্ন ক্যামিকেলের প্রতিক্রিয়া হিসেবে।

তিন নাম্বার ধরণের ডিপ্রেশন তিনি বলছেন, বাইরে থেকে আসে। যেইটা কোন ঘটনার প্রতিক্রিয়া হিসেবে। যেমন নানা খারাপ ইস্যুতে যে ডিপ্রেশন হয় মানুষের। বা অন্যদের বাজে প্রভাবে।

বুদ্ধিমান ছিলেন এই লোক।

তিনি বলছিলেন, যেমনে মানুষেরা প্রাথমিক চিকিৎসার, প্রয়োজনীয় ওষুধ জিনিসপত্র হাতের কাছে রাখেন ইমারজেন্সির জন্য, তেমনি যেন ভালো চিন্তা, অনুভূতিও মাইন্ডে জমাইয়া রাখেন, যাতে অনাকাঙ্ক্ষিত মেন্টাল ব্রেকডাউনরে কাউন্টার দেয়া যায়। মানে এখনকার পজিটিভ চিন্তার সাইকোলজিক্যাল আলাপ। যেমন, এক উদাহরণ, এক জায়গায় পড়ছিলাম আপনি কার কার কাছে কৃতজ্ঞ তা লেইখা রাখেন, এবং মাঝে মাঝে পড়েন। এটা আপনার জীবনের প্রতি কৃতজ্ঞতাবোধ বাড়াবে, ও মানসিক ভাবে হ্যাপি করবে।

মুরাদুল ইসলাম