সিস্টেম চায় একজন মানুষ যাতে পাবলিক হয়। যত…

সিস্টেম চায় একজন মানুষ যাতে পাবলিক হয়। যত বেশি পাবলিক সে হবে তত বেশি ভিউ এর সম্ভাবনা। যত বেশি ভিউ তত বেশি ব্যবসা, প্রফিট। এখানে একজন যুক্ত না, অনেক অনেক যুক্ত, সমগ্র মিলেই একটা সিস্টেম, যা প্রফিট চায়।

মানুষের প্রবণতা আপনার আনন্দ নষ্ট করা। আয়রনিক্যালি এতেই যেহেতু তার সুখ। ফলে, ধরা যাক, আপনি বন্ধের দিনে শুয়ে থাকতে পছন্দ করেন।

কেন করেন?

এর নানা ব্যাখ্যা দাঁড় করাতে পারবেন আপনে। কিন্তু সত্যিকার অর্থে কেন আপনার ওই জিনিশটা ভালো লাগে তা সঠিকভাবে বলা সম্ভব কি না, এটা তর্কের বিষয়।

তাও, আপনি জানালেন যে, ছুটির দিনে আপনার শুয়ে থাকতে ভালো লাগে ফলে আপনি শুয়ে থাকেন।

মানুষ শুনে বলবে, কেন আপনার এই সুখটি আসলে ভুয়া সুখ। আপনি আসলে টাইম নষ্ট করছেন। তারা তাদের নানা ব্যাখ্যা দিবে। আপনি এই সময়ে কী কী করতে পারতেন তা জানাবে।

তারা নিজেরাও মনে করতে পারে আপনার ভালোর জন্যই এসব বলছে, কিন্তু আসল উদ্দেশ্য, আপনার সুখের পয়েন্টটা বদলে দেয়া, আপনার সুখের জায়গাটারে নষ্ট করে দেয়া। যেমন আপনি কোন ভালো নিউজ শেয়ার করলে মানুষ আপনার ভালো নিউজটার গুরুত্ব কমাতে চেষ্টা করে।

মানুষ আপনারে এমন কিছু করার দিকে নিয়ে যাবে, যেখানে সিস্টেমের প্রফিট আছে।

এইজন্য সিস্টেম প্রাইভেসি পছন্দ করে না। সিস্টেম চায় আপনার সব কিছু যেন আপনি জানিয়ে দেন। আপনি যদি প্রাইভেসির পক্ষে হন, নিজের ভালো লাগা, আনন্দ দুঃখ ইত্যাদি পাবলিক না করার পক্ষে হন, এটা এক অর্থে খারাপ ভাবে দেখা হবে, প্রাতিষ্ঠানিক ধর্মসমূহের অযৌক্তিকতা মাথায় রেখেও বলা যায় যে, সম্ভবত, বোরকা পরা ছবি এই কারণে একটা সিম্বোলিক হুমকি সিস্টেমের কাছে। বোরকা পরা নারীটি নিজেকে ঢেকে রাখছেন কেবল এই কারণে না, বরং এই ঢেকে রাখার মাধ্যমে তিনি অন্যদেরও ঢেকে রাখতে উৎসাহিত করছেন। সবাই ঢেকে রাখলে সিস্টেমের ব্যবসা চলবে না।

সিস্টেম চায়, আপনি আপনার সুখ দুঃখ আশা স্বপ্ন ইচ্ছা সকলই প্রকাশ করেন। এইজন্য সে নানা ইনসেন্টিভসেরও ব্যবস্থা করে রেখেছে।

মুরাদুল ইসলাম