বিচার

একটি চিন্তা পরীক্ষা করা যাক এই রাত্রিবেলায়। ধরা যাক, দুইজন লোক আছেন। এর একজন পর্যাপ্ত পরিশ্রম, অনেস্টি, সাহস আরো যা যা আছে ইত্যাদি বজায় রাইখা একেবারে ঠিকঠাক পদ্বতিতে একটা কাজ করতে নামলেন।

একইসময়ে আরেকজন ব্যক্তি তার চাইতে অপেক্ষাকৃত বাজে পদ্বতিতে কাজটা শুরু করলেন। তাদের দুইজনেরই লক্ষ্য এক। কিন্তু এরা একে অন্যরে চিনেন না। ধরা যাক তারা পরস্পর হইতে দূরে থাকেন।

প্রথম ব্যক্তি সব ঠিকঠাক করা স্বত্ত্বেও ব্যর্থ হইলেন কাজে। তিনি ভালো ফলাফল বা যা তার লক্ষ্য ছিল তা আনতে পারলেন না। পরিবেশ, পরিস্থিতির কারণে তিনি ব্যর্থ হইলেন। এমন অনেক হয়।

দ্বিতীয় ব্যক্তি, যদিও তার অনেক ল্যাকিংস ছিল, তথাপি তিনি পরিবেশ পরিস্থিতির সাহায্য পাইলেন এবং ভালো ফলাফল আনতে পারলেন। তিনি সফল হইলেন।

এখন ইতিহাস সাধারনত কারে মনে রাখবে বেশী? দ্বিতীয় ব্যক্তিরে। তখন ইতিহাস ও সমাজের মতে, সফল হইবার রাস্তা হিশাবে লেখা হবে কোন পথকে? দ্বিতীয় ব্যক্তির পথকে। দ্বিতীয় ব্যক্তির কার্যপদ্বতিরে এমনভাবে গ্লোরিফাই করা হবে যে প্রথম ব্যক্তির অনুসরন করা পদ্বতি ম্লান বা নাই হইয়া যাবে প্রায়।

কিন্তু যেহেতু আমরাই এই চিন্তা পরীক্ষা শুরু করছি, অতএব আমরা জানি দ্বিতীয় ব্যক্তির পথ গলদপূর্ন। তার পথের চাইতে প্রথম ব্যক্তির পথ অপেক্ষাকৃত কম গলদে পূর্ন ছিল। তবুও দ্বিতীয় ব্যক্তির পথ ঐ নির্দিষ্ট ফলাফলের জন্য সবচেয়ে কার্যকর পথ হিসেবে বিবেচীত হবে। যা ভ্রান্ত, এবং কত লোকে তা অনুসরন করবে এবং ব্যর্থ হবার বেশী সম্ভাবনার দিকে যাবে।

প্রথম ব্যক্তির পথ অনুসরনে তাদের সাফল্য আসার সম্ভাবনা তুলনামূলক বেশী থাকত।

সেপ্টেম্ব্র ১০, ২০১৬

মুরাদুল ইসলাম