বহুত্ববাদের পজিশন সমস্যাজনক। তারা অন্যরে স্পেইস দিতে চায়।…

বহুত্ববাদের পজিশন সমস্যাজনক। তারা অন্যরে স্পেইস দিতে চায়। সেই অন্যরে স্পেইস দিতে গিয়া “অন্য” বানায়। এবং নিজে একটা সুপিরিয়র অবস্থান নেয়।

এইটা রেসিজমের আরেক ফর্ম।

আমি যদি বলি, চাকমা ছেলেটা গান গাইতে পারবে চাকমাদের ভাষায়, তারে এই গান গাইতে দিতে হবে ইত্যাদি, এখানে দুইটা সমস্যা।

১। চাকমা ছেলে চাকমা ভাষায় ঢাকায় বা দেশের অন্যত্র গান গাইতে পারবে না এটা কে বলছে? এই অধিকার তারে সংবিধান তথা দেশ দিয়া রাখছে। আমি যা, এই দেশে সেও তাই। তারে আমার আয়োজন করে কোন স্পেইস দেয়ার কিছু নাই।

২। চাকমা ছেলেটা আমারে এইটা আইসা বলছে, তার পক্ষে এই দাবী তোলার জন্য? বলে নাই, তো, আমি আমার কোন স্বার্থে কেন তার এথনিক আইডেন্টিটি নিয়া খেলতে পারি না।

কেউ বলবেন চাকমারা বা অন্য যে কোন জাতি যদি অধিকার পায় না সিস্টেমিক রেসিজমের কারণে, সেই ক্ষেত্রে তো তারে স্পেইস দেয়ার কথা উঠবে। কিন্তু এইখানে ঝামেলাটা হইল, তখন তো সিস্টেমিক রেসিজমের বিরুদ্ধে কথা উঠার কথা, ন্যায়বিচারের কথা উঠার কথা, তার আইডেন্টিটি টাইনা, তারে এথনিক ‘অন্য’ বানাইয়া, নিজেরে সুপিরিয়রে রাইখা বহুত্বের গল্প শুনালে সমাধান নাই।

আর বহুত্বের উছিলায় এইটা কেনই বা শুনতে হবে সবার। ধরেন, আমার চাকমা ভাষার গান ভালো লাগে না, আমি শুনব না। বহুত্বচর্চা করতে গিয়া শুনতে বাধ্য হইলে বা শোনার অভিনয় করলে সেটা খারাপ হয়।

মুরাদুল ইসলাম