বন্ধুত্ব

ফেসবুকের ফ্রেন্ড লিস্টে থাকা মানুষদের নিয়া অনেকে বলেন, রিয়াল লাইফের বন্ধু আসল, ফেসবুক-অনলাইনে বন্ধু হয় না ইত্যাদি কথাবার্তা। এগুলা ভুয়া। এদের কথাবার্তার মূলে যে বস্তু অর্থাৎ “বন্ধুত্ব” সেইটা সম্পর্কে তাদের চিন্তা ক্লিয়ার না। ফলে ফেসবুকরে বন্ধু বানানির কারখানা ভাবেন।

ফেসবুকের মূল উদ্দেশ্য যাই থাক, এখানে যা দাঁড়াইছে তা হইল একটা নেটওয়ার্ক। আপনার যাদের লেখা ভালো লাগে, যাদের চিন্তা ভালো লাগে তাদের লস্টে এড করে রাখবেন, ফলো করে রাখবেন। পোস্ট, কমেন্ট ইত্যাদি। নয়া কিছু জানা, ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গীতে ভাবতে শেখা এবং কখনো আন্দোলন টান্দোলনও হয়। অথবা নিছক বিনোদন, একই টিমের সাপোর্টার এক সাথে গ্রুপে বইয়া মজা করেন বা একই রাজনৈতিক দলের সমর্থকেরা তাদের কথাবার্তা বলেন, পরস্পরের একই মতাদর্শী পোস্টে লাইক কমেন্ট মারেন। ব্যাক্তির চাইতে মতাদর্শটা গুরুত্ব বেশি পায় এখানে। বিএনপির পক্ষে লেখেন এমন ফেসবুকের ফেমাস লোক হঠাৎ একদিন আওয়ামিলীগের পক্ষে লেখতে থাকলে তিনি তার বিএনপি সমর্থক ফ্যান ফলোয়ারের শত্রু হইয়া উঠবেন একদিনেই।

অফলাইনেও বন্ধু বানানি ইজি বিষয় না। যাদের সাথে আমরা স্কুল কলেজ ইউনিতে পড়ি এরা সবাই আমাদের বন্ধু হয় না। বন্ধু হয় খুব খুব কম। বন্ধু বইলা এদের আমরা সম্বোধন করি, কিন্তু এরা ক্লাসমেট বা পরিচিত। দীর্ঘদিনের জানাশোনার মাধ্যমে বন্ধুত্ব হইতে পারে আবার দীর্ঘদিনের জানাশোনাও অনেক সময় ইজিলি ভাইঙ্গা যায়। মোটকথা, মানুষের সাথে বন্ধুত্ব সহজ কথা না। মানুষরে অত প্রেডিক্ট করা যায় না। বন্ধুত্ব সবচেয়ে ভালো হইতে পারে কুত্তার লগে। কুত্তার একটা দারুণ বন্ধুভাবাপন্ন মন আছে।

মুরাদুল ইসলাম