প্রি সক্রেটিক বড় বড় দার্শনিকদের ৯৮ ভাগ লেখাই…

প্রি সক্রেটিক বড় বড় দার্শনিকদের ৯৮ ভাগ লেখাই টিকে নাই। তাদের চিন্তা খারাপ ছিল এইজন্য না। টিকায় নানা পারিপার্শ্বিক কারণ থাকে।

খলিফা আবু ইউসুফ যখন আন্দালুসিয়ান দার্শনিক ইবনে রুশদের বই পুড়াইছিল, ফিল্মে দেখায়, ঐ সময় বইয়ের কপি ইবনে রুশদের শিষ্যরা মিশর ও অন্যান্য জায়গায় নিয়া যাইতে চায়। কিন্তু দীর্ঘ যাত্রায় নষ্ট হয় বইগুলা, কেবল মিশরের লাইব্রেরীতে পৌঁছানো যায়। এই দৃশ্য তখনকার পরিস্থিতি বুঝতে হেল্প করে। আর প্রি সক্রেটিকদের সময় তো আরও আগের, বহু আগের।

যদি সব বই পুড়ানো হইত এবং রুশদরে বিচারে মারা হইত, তাহলে হয়ত কেবল নাম জানা যাইত যে, ইবনে রুশদ নামে একজন দার্শনিক ছিলেন।

এইরকম অনেক অনেক লেখক দার্শনিক কেবল নাম হয়ে আছেন। অনেকে নাম হয়েও নাই।

বা ধরেন “এ গোয়েন্দা কাহিনি এ পর্য্যন্ত প্রায় পাঁচ লক্ষ ফর্ম্মা বিক্রীত হইয়াছে।” এমন লেখা থাকত যার বইয়ের বিজ্ঞাপনে, একসময়কার সেই জনপ্রিয় লেখক, শরচ্চন্দ্র সরকার এর নাম শুনেছেন? এখন শোনা যায়? সাহিত্যে এখন তিনি কেমন গুরুত্বপূর্ন? কীভাবে টিকে আছেন?

এই যে তিনি নাই হইলেন, কীভাবে ও কেন নাই হইলেন?

মুরাদুল ইসলাম