ডেভিড হিউম তো ধর্মে বিশ্বাস করতেন না। সন্দেহ…

ডেভিড হিউম তো ধর্মে বিশ্বাস করতেন না। সন্দেহ পোষণ করতেন সব কিছু নিয়ে। এটা সবাই জানতো।

একবার হিউম পইড়া গেলেন কাদা ভর্তি এক গর্তে। সেখান থেকে উঠার কোন উপায় নাই। বাধ্য হইয়া তিনি হেল্প হেল্প বলে চিৎকার করতেছিলেন।

একজন ধার্মিক মহিলা, যিনি হিউমের প্রতিবেশীই ছিলেন তিনি আইসা দেখলেন অবিশ্বাসী হিউম কট খাইছেন। ভদ্রমহিলা খুশির সাথে বললেন, এই তো হইছে। ঈশ্বররে অবিশ্বাস করো। বড় বড় কথা বলো। এইবার তোমারে কে বাঁচাবে?

হিউম বললেন, আপনি আমারে বাঁচান। খ্রিস্টানদের নিয়ম হইল বিপদে পড়লে অন্যরে বাঁচানো। সে বিশ্বাসী বা অবিশ্বাসী যাই হোক না কেন।

ভদ্রমহিলা বললেন, এইসব ভুল কথা। আমি বাঁচাইতে পারব যদি তুমি ঈমান আনো, ও শপথ করো ঈশ্বরের নামে।

হিউম সাথে সাথেই হাত তুলে ভক্তির সাথে শপথ করলেন। শ্লোক ইত্যাদি আউড়ে ঈমান এনে ফেললেন।

ভদ্রমহিলা অতঃপর তাকে টেনে তুলেছিলেন।

হিউম এই জায়গায় আদর্শে অটল থেকে শহীদ হইতে যান নাই। কারণ তার কাছে বাঁচাটাই ছিল তখন মূল, আর বাঁচার পরে তো তিনি নিজের চিন্তাতেই রইছিলেন। শহীদ হইতে চান নাই। প্রায় একইরকম শহীদ হতে চান নাই এরিস্টটল। তারেও কিন্তু সক্রেটিসের মতো মৃত্যুদণ্ড দেয়া হইছিল। তিনি পালাইয়া গেছিলেন। যাবার সময় মজা করে বলছিলেন, এথেন্সবাসীরে একই দার্শনিক মহা ভুল দুইবার করতে দেয়া ঠিক হবে না।

আর সক্রেটিস করলেন কি, তার ডাইমন (আত্মা) কিছু বলতেছে না দেখে তিনি পালাইলেন না। হেমলক খাইয়া মইরা গেলেন। অবশ্য তখন তার বয়েসও অনেক।

মুরাদুল ইসলাম