কাজল আরেফিন অমি’র নাটক ব্যাচেলর পয়েন্ট সিজন ২…

কাজল আরেফিন অমি’র নাটক ব্যাচেলর পয়েন্ট সিজন ২ এবং সিজন ৩ এ স্পন্সর ছিল ইভ্যালি।

ইভ্যালির ধান্দায় যেসব লোক ক্ষতিগ্রস্থ হইছে, তাদের পেছনে এই বিজ্ঞাপনের প্রভাব ছিল অনেক।

ব্যাচেলর পয়েন্ট সিজন ৪ এ বাচ্চু ক্যারেক্টার দিয়া ইভ্যালিরে নিয়া মক করতেছে। কারণ ইভ্যালি ধরা খেয়ে গেছে।

ইভ্যালি ধরা না খেলে, এই সিজন ৪ এও ইভ্যালির সৌজন্যে রাখতো।

গিল্টি ফীল করলে তাদের উচিত ছিল দর্শকের কাছে ক্ষমা চাওয়া।

কিন্তু বাচ্চু ক্যারেক্টার দিয়ে ইভ্যালিরে নিয়া মক করে তারা যে গিল্টি ফীল কাটাইতে চাইলো, মরাল হাই অবস্থান নিতে চাইলো বা পপুলার ট্রেন্ড এনক্যাশ করতে চাইল, এটা কুৎসিত। এই জায়গাতে নাটকটির নির্মাতা ইন্টেগ্রেটিলেস আচরণ করলো।

আর নিশ্চয়ই ইন্টেগ্রেটি সবচাইতে মূল্যবান।

ব্যাচেলর পয়েন্ট বা কাজল আরেফিন অমির কেইসের নাম দেয়া যায় কালাপাহাড় সিনড্রোম।

কালাপাহাড় সিনড্রোমকে সংজ্ঞায়িত করা যায় রাজীবলোচন রায়ের ইতিহাস থেকে। যিনি হিন্দু ছিলেন। পরে মুসলমান সেনাপতি হয়ে হিন্দু মন্দির ধ্বংসে নেমেছিলেন। ডাকনাম পড়েছিল কালাপাহাড়।

ধর্মান্তরিতদের আলাদা বিদ্বেষ থাকে নিজের পুরনো ধর্মের প্রতি।

এই বিদ্বেষ হয়ত, গিল্টি ফীল থেকে, অথবা নতুন ধর্মে লয়ালটি দেখাইতে। নতুন ধর্মে লয়ালটি দেখাইতে তারে এক্সট্রা কাজ করতে হয়। কাজল আরেফিনও এইখানে বাচ্চু ক্যারেক্টার দিয়া ইভ্যালিরে মক করে বলতেছেন, আমি কলা খাই না।

ঠাকুর ঘরে কে রে, প্রশ্নটা আসার আগেই।

মুরাদুল ইসলাম