হুইসেলের দাম কত দেন আপনে?

বেঞ্জামিন ফ্রাংকলিনের এই কাহিনী। তিনি তখন অনেক ছোট, বয়েস সাত বছর। একবার এক ছুটির দিন বন্ধুদের মারফত কিছু টাকা পাইলেন তিনি। গেলেন খেলনার দোকানে। রাস্তা দিয়া যাবার সময় দেখছিলেন এক পোলা বাজাইতেছে হুইসেল। তিনি দোকানে গিয়া তার সব টাকা দিয়া কিনলেন হুইসেল। হুইসেল কিনে বাড়ি আসলেন ও তা বাজাইতে লাগলেন। পরিবারের লোকজন বিরক্ত হইলেন। তার ভাই বইনেরা বলতে লাগলেন যে তিনি প্রায় চারগুণ বেশী দাম দিয়া কিনছেন।

তারা এই মূর্খতা নিয়া হাসাহাসি করলেন। তখন পিচ্চি বেন ফ্রাংকলিনের চোখে পানি আসলো। হুইসেল কিনে যত আনন্দ পাইছিলেন তার চাইতে বেশী দুঃখ তিনি অনুভব করতে লাগলেন। এই টাকা দিয়া আরো ভালো ভালো কত কিছু তিনি কিনতে পারতেন সেগুলি তার মনে হইতে লাগল।

এরপর থেকে যখনই কোন অপ্রয়োজনীয় জিনিস কিনার ইচ্ছা হইত তার, তখনই এই ঘটনা নিজেরে মনে করাইয়া বিরত থাকতেন। পরে বড় হইলে তিনি দেখলেন, বাস্তব জীবনে প্রচুর প্রচুর মানুষ তাদের হুইসেলের জন্য বেশী দাম দিতেছে।

নিজের নৈতিকতা বিসর্জন দিতেছে, নিজের স্বাধীনতা বিসর্জন দিতেছে, ফ্যামিলি বা বন্ধুদের বিসর্জন দিতেছে, স্বাস্থ্যরে বিসর্জন দিতেছে বা অন্যের পা চাটা হইতেছে ফেইমের জন্য, চাকরীর জন্য, কেরিয়ারে সফল হবার জন্য, প্রতিষ্ঠার জন্য।

এরা হুইসেলের জন্য বেশী দাম দিয়া যায়।

মুরাদুল ইসলাম