মন মগজে উপনিবেশ

একবার একটা টিভি চ্যানেলে এক বিদেশী শাদা চামড়ার বেটির স্বাক্ষাতকার দেখাইল। তিনি বলতেছিলেন “আমি ফ্রান্সে ছিলাম, জার্মানিতে ছিলাম কিন্তু কোথাও দেখি নাই মিশাইয়া কথা বলে লোকে। ফ্রেঞ্চ কইলে ফ্রেঞ্চ কয়, জার্মান কইলে জার্মান। কিন্তু এখানে লোকে বাংলার লগে ইংরাজি মিশায়।”

এই কথা শোনার পর রিপোর্টার শরম পাইলেন। তিনি কথা বলতে গেলেন। তার মুখ থেকে দুটা ইংরাজ শব্দ বাইর হইয়া গেল। তিনি আরো শরম পাইলেন।

এইটা শেয়ার করছিল রেডিও মুন্না। ফলে শরম পাইতে থাকা মানুষের সংখ্যা খালি বাড়তে থাকল।

এই শরম পাওয়ারা বুঝে নাই বাংলা ভাষায় ইংরাজ পর্তুগিজ আরবি ফার্সি শব্দে ভর্তি। আরবি ফারসি বিদায় করে প্রমিত বাংলা বানানি হইছিল কিন্তু তাতেও রইয়া গেছে। ইংরাজরা দুইশ বছর এইখানে শাসক হিসাবে ছিল। ফলে ইংরাজি প্রবেশ করছে বেশি। মুসলিম শাসকদের থেকে ঢুকছে ফারসি আরবি।

বাংলা ভাষার ইতিহাস না জাইনা শরম পাইল এরা। এইভাবে শরম দেয় কলোনিয়াল মনোভাব যাদের এরা, আর শরম পায় উপনিবেশের দাস ছিল এবং মনে মননে এখনো ঐরূপ রইয়া গেছে যারা, তারা। এই ধরনের শরমের কেন্দ্রে দাঁড়াইয়া আছে ইউরোপিয়ান এনলাইটনমেন্ট – ‘আমি আলোর পথে আছি আর তোমরা হালায় চামার’।

মুরাদুল ইসলাম