অলসতার পক্ষে

এক রবীন্দ্রনাথের একটি কবিতা আছে দুরন্ত আশা। কবিতাটি আমি মুখস্ত পারতাম, এখন শেষের দিকে দুয়েক লাইনে বেড়াছেরা লাগে। এই কবিতাটি অলসতার বিরুদ্ধে। কবি প্রথমে বাঙালীদের অলসতার বিবরণ দিয়েছেন। এরপর বলেছেন আরব বেদুঈনদের কথা। যারা চরণ তলে বিশাল মরু রেখে ঘোড়া ছুটিয়ে বর্শা হাতে ও ভরসা প্রাণে নিয়ে ছুটে বেড়ায়। কবি বলেছেন ইহার চেয়ে হতেম যদিContinue reading অলসতার পক্ষে

দেশ মা

দেশরে মা বলে মা মা করলে একটা সুবিধা আছে। মা হইলেন ক্ষমাশীল, সর্বংসহা। মানে চুরি চামারি যাই করেন, দেশ আম্মা তা মাফ করে দিবেন। কারণ মায়ের প্রকৃতিই ক্ষমা করে দেয়া। কিন্তু দেশরে বাপ বললে এই সুবিধে পাওয়া যায় না। কারণ বাপ কিন্তু মায়ের মতো না। চুরি চামারি করলে গাইল তো খাবেনই, মাইরও খাইবেন। বেশী করলেContinue reading দেশ মা

সজনীকান্ত দাস

এক অ-ধরাকে ধরার প্রয়াসই সাহিত্য-সাধনার প্রেরণা। – সজনীকান্ত দাস। আত্মস্মৃতি।   দুই সজনীকান্ত দাস জীবনানন্দকে গণ্ডার বলেছিলেন এটা প্রায়ই শোনা যায়। কিন্তু জীবনানন্দের যখন জীবন বিপন্ন তখন জীবন বাঁচাতে সজনীকান্তই মূখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে এসেছিলেন, তা শোনা যায় না। বিভূতিভূষনের পথের পাচালি তিনি প্রকাশ করে দিয়েছিলেন স্বতপ্রবৃত্ত হয়েই। তখন তার নিজেরই আর্থিক সংকট, কিন্তু পাঁচজনের কাছ থেকেContinue reading সজনীকান্ত দাস

প্রশংসা ও নিন্দা বিষয়ে

প্রশংসা করতে সৎসাহস লাগে। অন্যরে প্রশংসা মানে নিজের জেলাসির বিরুদ্ধে গিয়ে বলা। অর্থাৎ, প্রতিকূলে নৌকা বাওয়া। প্রশংসা বলতে এখানে সৎ প্রশংসাই বুঝাচ্ছি। কার্যসিদ্ধির জন্য তেলানো নহে। আর নিন্দা অথবা আক্রমণ সমালোচনায় সৎসাহস লাগে তুলনামূলক কম। কারণ অনেক ক্ষেত্রে এই সমালোচনা জেলাসি উদ্ভূত। বা ঈর্ষার সায় থাকে। ব্যাপারটা এখানে অনুকূলে নৌকা বাওয়া।

অনলাইন একটিভিজম

এক অনলাইনে একটিভিজম একটি ভয়াবহ রোগের নাম। একটা সাইকোলজিক্যাল ব্যাপার আছে, “কিছু করতে হবে” এইরকম বোধ হওয়া, (যার জন্য অধিকাংশ ইনভেস্টররা বাজে ইনভেস্ট করে ও টাকা হারায়)। এইটা থেকে এই অতি একটিভিজম রোগের উৎপত্তি হয়। যত এই রোগে আক্রান্ত হতে হতে চে গাভারা-নারীবাদী ইত্যাদি হতে থাকবেন, ততো আপনার ক্রিয়েটিভিটি কমবে। কারণ অধিকাংশ অনলাইন একটিভিজম ফাঁপাContinue reading অনলাইন একটিভিজম