কার রিস্ক বেশি? কে হিরো ?

ধরুন একটা বিল্ডিং এ একজন অপরাধী (আমাদের জোকার) কয়েকজন শিশুকে বন্দি করে রেখেছে। সে এদের মেরে ফেলবে। কোন টাকা পয়সা চাচ্ছে না। তার কোন দাবীও নেই। রাত আটটা ত্রিশ মিনিটে সে এদের মেরে ফেলবে। 

আমাদের শহরে আছেন একজন ব্যাটম্যান, তার অত্যাধুনিক প্রযুক্তিগত পাওয়ার। তিনি ছুটলেন এদের বাঁচাতে। তিনি প্রায় ১০০ ভাগ নিশ্চিত তার যে পাওয়ার আছে এতে তিনি নিজে জোকারের হামলায় মরবেন না। আমরাও জানি তিনি মরবেন না। 

 

এখন একই শহরে আছেন আপনি, একজন ন্যায়পরায়ণ সৎ সাহসী মানুষ। ধরি একজন পুলিশ অফিসার। আপনি একেবারে সাধারণ লোক, এক্সট্রা পাওয়ার নাই আপনার। আপনিও ছুটলেন বাচ্চাদের বাঁচাতে। আপনি নিজে জানেন আপনি জীবনের ঝুঁকি নিচ্ছেন, আমরা জানি তা। 

এখন প্রশ্ন হলো, কে বড় বীর এখানে? কার সাহস বেশি? 

অনেক গুরুত্বপূর্ন ব্যক্তি আছেন, অধ্যাপক, বুদ্ধিজীবী যারা আন্দোলনে পথে নামেন। এটা অবশ্যই গুড জিনিশ। কিন্তু তাদের আলাদা একটা পাওয়ার আছে। তাদের সরকার সহজে গ্রেফতার ও ধরে রাখতে পারবে না। মারতে ত পারবে নাই, একেবারে টোটালিটারিয়ান সরকার না হলে। শহীদুল আলমরে ধরছে আপনি বলতে পারেন, কিন্তু এতে বিশ্বের নানা জায়গা থেকে আলোচনা হচ্ছে। সরকারকে এর জন্য সমস্যায় পড়তে হচ্ছে ও ফিউচারেও হবে, বিশেষত কোনদিন ব্যাকফুটে গেলে। 

কিন্তু খেয়াল করেন, কত লোকই ত গুম খুন হইল। এগুলি সরকার হজম করতে পেরেছে। প্রায় যেকোন সরকারই এটা পারে। ক্রসফায়ার শুরুই হয়েছিল বিএনপির সময়ে। 

একটা আন্দোলন বা প্রতিবাদে পাওয়ারহীন যারা যায়, তারাই বেশি রিস্ক নেয়। কিন্তু আমরা গ্লোরাইফাই করি সামনে থাকা নেতৃত্বকে, যাদের ঝুঁকির পরিমাণ প্রায় ক্ষেত্রেই কম হয়।

মুরাদুল ইসলাম