লিটল ন্যারেটিভ

মহাবিশ্বের বিশালতার দিকে তাকাইয়া লাইফ বুঝা ও লিড করা যায়, আবার নিজের বা নিচের বা দুনিয়ার দিকে তাকাইয়াও করা যায়। প্রথমটারে একেবারে উড়াইয়া দেই না, কিন্তু দ্বিতীয়টারেই আমার সমর্থন দেই।

মানুষের নিজের সেলফ বলে যে বস্তু, এটা সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে আর নাই। এখন তার সেলফ স্কিজোফ্রেনিক, ভাঙ্গা ভাঙ্গা। ভাঙ্গা ভাঙ্গা, অংশ অংশ সেলফ দিয়া প্রতিনয়ত সে সেলফ নির্মাণ করতে চায়। সোশ্যাল মিডিয়ার ট্রেন্ডগুলা তার এই নির্মানে লাগে। কারণ সে ভয়েড ফিল করে ভেতরে। সে জানে যে তার সেলফ নাই।

আমি ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র, সমস্যা নাই, কিন্তু এই আমি আছি বলেই সব আছে, হাবল জেমস টেলিস্কোপ বিজ্ঞানের অবুঝ মাস্টর পুরোহিত, সব গণ্ডার ও মুর্খ। আমার মাইন্ড না থাকলে, আমি না থাকলে, কিছুই নাই। অতএব, যত ক্ষুদ্রই হই না কেন, সেই হিশাব যেই স্কেলেই দেন, সকল স্কেল মাপার মহাস্কেল আমি। আমিই সকল।

যেকোন ইস্যুতে দুই ভাগ তিন ভাগ দশ ভাগ হয়ে যাওয়া জীবন্ত সমাজের লক্ষণ। এক ভাগ দেখতে চাওয়ার যে অভিলাষ, তা ফ্যাসিবাদী।

নাসার ছবিতে ধর্মসমূহ টিকবে না, শিশু কিশোরদের ফ্যান্টাসী। গ্যালিলিও যখন বলছিলেন দুনিয়া কেন্দ্রে না, ওইটা ছিল সবচে বড় আঘাত, রিলিজিয়নে কসমিক আঘাত ওইদিন সম্পন্ন। তাও রিলিজিয়ন টিকে আছে। কারণ রিলিজিয়ন জ্ঞান নির্ভর না, রিচুয়াল নির্ভর।