জিপিএ-৫

মাছরাঙা টিভির করা এই রিপোর্টের ভিড্যু ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া এবং  তা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচনা শুরু হয়ার প্রেক্ষিতে প্রতিক্রিয়াঃ

৩০-৩১ মে, ২০১৬

 

পৃথিবীর শিক্ষা ব্যবস্থা তৈরী হইছে জ্ঞানী তৈরী করার জন্য নয়, ইন্ড্রাস্ট্রিয়ালাইজেশনের চাহিদা মেটানোর জন্য।

 

জিপিএ৫ প্রাপ্তদের সাধারণ জ্ঞানের অভাব দেখলাম শেয়ার হইতে থাকা ভিডিওতে। এতে আতংকিত হইবার বিষয় আছে ইন্ড্রাস্ট্রির এবং ইন্সটিটিউটদের। যেহেতু তাদের কামলা দেয়ার জন্যই উনিশ শতকে পাবলিক শিক্ষা ব্যবস্থার প্রবর্তন হয় দুনিয়াতে। ইন্ড্রাস্ট্রিরা কম জানা কিছু পাবলিক পাইল। নাকি ইন্ড্রাস্ট্রিতে কাম নাই বলেই এইরকম হইতেছে, যাতে তারা কইতে পারে এরা আমাদের কামলা দেবার যোগ্য হইতে পারে নাই।

কমেডি বা মানুষ হাস্য কৌতুক কেন করে তার থিওরী আছে তিনটা। প্রথমটা উল্লেখ করছিলেন প্লেটো তার রিপাবলিকে। সেটা হইল, মানুষ তারে নিয়া হাসে যার থেকে সে নিজেরে সুপিরিয়র মনে করে। এইক্ষেত্রে মিস্টার বিন বা ইত্যাদির হাবা হাসমতকে স্মরণ করা যায়। এই চরিত্রদের বোকামি দেইখা লোকের হাসি আসে। তার ভিতরে তখন যে বোধ থাকে সেটা হইল আমি ওর মতো বোকা না। আমি ওর মতো এত কম জানি না, বেশি জানি। জিপি৫ ভিড্যু বাইর হইবার পর যে ট্রল, হাসাহাসি তা প্লেটোর সুপিরিয়রিটি থিওরীতে পড়ে।

চিন্তা কইরা দেখেন, যে প্রশ্নগুলা করা হইছে, সেইগুলা না পাইরাও এ প্লাস পাওয়া সম্ভব। সৎভাবেই। এইগুলা তো অবজেক্টিভ টাইপ। এক মার্কের। আশি মার্ক নিশ্চিত হইলেই হইল। তা মুখস্ত কইরা হইলেও। যেহেতু মুখস্তের উপরেই এই শিক্ষা ব্যবস্থা খাড়াইয়া আছে।

অতএব, আপনাদের শিক্ষা ব্যবস্থার নিয়মেই এরা যে এ প্লাস পাইতেই পারে না, এই ভিড্যু তা প্রমাণ করে না। এই ভিড্যু প্রমাণ করে না ভিড্যুর ছাত্রছাত্রীরা মেধাহীন।

 

মুরাদুল ইসলাম