হুমায়ূন আহমেদের ভ্রমণসমগ্র খুললাম আর পায়ের তলায় খড়ম…

হুমায়ূন আহমেদের ভ্রমণসমগ্র খুললাম আর পায়ের তলায় খড়ম দেখছিলাম। তিনি, উইথ ফ্যামিলি এক তুর্কী পরিবারের অতিথি হয়েছেন।

হুমায়ূন লিখলেনঃ

“আমার প্রধান চিন্তা, যে ঘরে আমাদের থাকতে দেবে তার সঙ্গে এটাচড বাথরুম কি আছে? নাকি গণবাথরুম ব্যবহার করতে হবে! ইস্তাম্বুল ইউরোপের শহর। ইউরোপের বেশীরভাগ বাড়িতে একটা বাথরুম।”

এই অংশ পড়েই, আমার অতি প্রখর স্মৃতি মনে করাইয়া দিল হুমায়ুন আজাদও এমন কিছু বলেছিলেন তার এক সাক্ষাৎকারে।

সে অংশটা হলোঃ

“হুমায়ূন-মিলন একসময় আমার বাসায় প্রায়ই আসতো, হুমায়ূন তখন ধনী হয় নি, আমার থেকে ৫০০ টাকাও ধার নিতো। টিভি সিরিয়াল তার ধনের খাল খুলে দেয়। টাকা হলে মানুষ কতো কী করে- গাধার জন্যে প্রাসাদ বানায়, সমুদ্রে বাড়ি বানায়, লোকেরা ওই বাড়িকে বলে পাগলের বাড়ি। হুমায়ূন এসে ধরলো তার পিতার নামে গ্রামে পাঠাগার করবে, ওই অনুষ্ঠানে আমাকে যেতে হবে- সঙ্গে নির্মলেন্দু ও মিলন। হুমায়ূনের স্ত্রী, কন্যা, মা, ও অন্যরা তো ছিলোই। অমন বিরক্তিকর পরিস্তিতিতে আমি কখনো পড়ি নি। কিশোরগঞ্জ না কোথাকার এক পাটক্ষেতের ধারে সন্ধ্যার পর আমরা নামলাম, খেতের আলে হাঁটু পানি, ওই পানিতে কয়েক ঘণ্টা হেঁটে, অন্ধকারের মধ্যে কোথায় গিয়ে যে উঠলাম, কেমনে উঠলাম তা আমি বুঝতে পারলাম না। একটি সমস্যা হলো ওদের ওখানে কোনো পায়খানা নেই, পাটখেতে বা অন্য কোনো খেতে যেত হয়, ওরা প্রকৃতির ডাক শুনে দৌঁড়ায়। এক ইস্কুলের বিএ পাশ, বেশ সুন্দরী, এক শিক্ষয়িত্রী এক বদনা পানি নিয়ে চললো আমার সঙ্গে, আমি বিব্রত বোধ করতে থাকলে; সে বললো, স্যার, আপনি করেন, আমি আছি।”

মুরাদুল ইসলাম