কবি রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ’র একটা ফেমাস কবিতায় এমন…

কবি রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ’র একটা ফেমাস কবিতায় এমন লাইন আছে “বেশ্যাকে তবু বিশ্বাস করা চলে"।

তিনি রাজনীতিবিদ, বুদ্ধিজীবিদের সমালোচনা করতে এই লাইন এনেছেন।

তবু বিশ্বাস করা চলে, অর্থাৎ এমনিতে তো যায় না, তবুও করা যায় অন্তত একটু। বেশ্যাদের জন্য অপমানজনক এই লাইন।

এই যুক্তি কি হইল? বেশ্যারে বিশ্বাস করার কী আছে!

প্রেমযুক্ত বিশ্বাসের সম্পর্ক বেশ্যার সাথে তো থাকবেই না, তাই এ ধরনের বিশ্বাসের কথা আসে না।

দ্বিতীয় ধরনের বিশ্বাস হচ্ছে আপনি যে তার ঘরে গেছেন, বিপ্লব করেছেন তা যেন সে অন্যরে না বলে। এটা স্বাভাবিকভাবেই সে অন্যরে বলবে না, এটা তার প্রোফেশনাল এথিক্স বা ব্যবসায়ের টেকনিক এর অন্তর্ভূক্ত। বলে বেড়ালে তার ব্যবসাই মাইর খাবে, ফলে নিশ্চয়ই সে বলে নিজের ব্যবসায়ের লস করতে চাইবে না।

প্রেমযুক্ত বিশ্বাসের আশা করলে বোকামি, কারণ সে প্রেম বিলাইতে বসে নাই, ব্যবসা করতে নামছে। এবং তার সামাজিক অবস্থানই এমন, সে সতীর "আদার"।

ফলে এই ধরনের বিশ্বাসের প্রসঙ্গ আনলে সেটা বাজে যুক্তি, বেশ্যাদের অযথাই অপমান করা হয়।

[শরৎ সাহিত্যে পতিতা নামে একটা বইয়ে আছে, বেশ্যাদের গৃহে অনেক বিপ্লবী নেতা লুকাইয়া থাকতেন। কিন্তু কোন বেশ্যা বিশ্বাস ঘাতকতা করে ধরাইয়া দিছে এমন ইতিহাস নাই। এটারে রেফারেন্স হিসেবে নিলে বলা যায়, বেশ্যারা এদিক থেকেও বিশ্বস্তই।]

মুরাদুল ইসলাম