কেউ কেউ পাঠক। সকলেই নয়। বাংলাদেশে অনেক কিছুই…

কেউ কেউ পাঠক। সকলেই নয়। বাংলাদেশে অনেক কিছুই হয় না। সাহিত্য বা শিল্প সমালোচক বলে কিছু হয় নি। হয় না।

শিল্পসাহিত্য সম্পর্কে খুবসত্য কথাগুলোর একটা হলো এই যে আগের কালের চেয়ে পরের কালে সব সময়ই মহত্তর লেখক শিল্পীরা জন্মাতে থাকে ও থাকবে।

কাফকা নিজে একটি ডিক্সনারি। সেখান থেকে এবং এবং অন্যান্য লেখক থেকে-গান-ছবি এবং পূর্বজন্মের যেকোন জিনিসের তদন্তসূত্র ধরে ধরে এগোবার অধিকার লেখকমাত্রেরই আছে। দস্তয়ভস্কি থেকে কাফকা, ইয়েটস থেকে জীবনানন্দ- এসব গু সমালোচকেরা অনেক ঘেঁটেছেন।

আসল কথা হল, ইন্টার টেক্সুয়ালিটি। এসম্পর্কে ভাষাবিজ্ঞানী মিখায়েল বাখতিন- যথেষ্ট বলে গেছেন। একটি সাহিত্যকর্ম সম্পূর্ন মৌলিক হতে পারে কেবল নিরক্ষরের ক্ষেত্রে- যেমন আউল বাউল। এমন কি আমাদের আজকের মুখের ভাষাও মৌলিক নয়। তা সহস্র বছর ধরে বিবর্তনময় সামাজিক নৃতাত্ত্বিক ভাষাগতির পরিণতি।

এ ধরণের প্রশ্ন সেই সব সমালোচকদের যারা লেখাকে মনে করেন ‘মাল’। এবং তাকে সেভাবে নাড়াচাড়া করেন। লেখার নিয়ত পরিবর্তনশীল পরমাণু ব্যাপার তারা জানেন না।

-সন্দীপন চট্টোপাধ্যায়ের ডায়রি। (৮ জুলাই, ১৯৯০)।

একটি সাহিত্যকর্ম সম্পূর্ণ মৌলিক নিরক্ষরের ক্ষেত্রেও হতে পারে না। নিরক্ষর আউল বাউল ভাবের আদান প্রদান করেন গানে, কথাবার্তায়। তারা শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন, গুরু হন, একজন আরেকজনের কাছ থেকে নেন।

একটা সাহিত্যকর্ম সম্পূর্ন মৌলিক হতে পারে যদি ব্যক্তিটি জনমানব শূন্য জায়গায় জন্ম থেকে অবস্থান করে, এমন ধরা যেতে পারে।

মুরাদুল ইসলাম