বাক স্বাধীনতা বলতে যে সশ্যাল পলিটিক্যাল দর্শনের বস্তু…

বাক স্বাধীনতা বলতে যে সশ্যাল-পলিটিক্যাল দর্শনের বস্তু আছে, তার দ্বারা বুঝায় মুক্ত ভাবে অনেক চিন্তা প্রকাশের আইনগত অধিকার, যেখানে সরকার হস্তক্ষেপ করবে না।

কিন্তু এই অধিকার প্রাইভেট প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির ক্ষেত্রে নয়, তারা বাক সীমিত করতে পারে। কারণ, বাক স্বাধীনতার অর্থ কথা না বলার অধিকারও।

এই কথা না বলার অধিকার প্রাইভেট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বাক স্বাধীনতা অধিকারের অংশ, তাই তারা বাক সীমিত করতে পারে।

অনেক মানুষ বাকস্বাধীনতা বলতে মনে করে প্রাইভেট প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির কাছেও তার এই অধিকার আছে। এই মনে করার মাধ্যমে তারা আসলে মানুষের বাক স্বাধীনতার বিরুদ্ধে যায়।

ফ্রিডম অফ স্পিচের অধিকারের মধ্যে আছে, কারো কথা না শোনার অধিকার।

এবং এটি আনলিমিটেড অধিকার না। কারণ আনলিমিটেড হলে অন্যান্য অধিকারের সাথে সংঘর্ষ হবে। যেমন, কেউ বাক স্বাধীনতার নামে কারো নামে অন্যায় কুৎসা করতে পারবে না, বা কোন কমিউনিটির নামে ঘৃণা ছড়াতে পারবে না।

মূল কথা, ফ্রিডম অব স্পিচ সরকারের কাছে অধিকার। দুই ধাপে, এক যাতে সরকার মুক্তভাবে কথা বলার আগে কোন বাঁধা প্রদান করে, এবং দুই, যাতে কথা বলার পরে কোন শাস্তি না দিতে পারে।

উদ্দেশ্য, সরকারের সমালোচনার জায়গা রাখা, যাতে গণতান্ত্রিক পরিবেশ বজায় থাকে। এবং ব্যক্তিস্বাধীনতাকে রক্ষা করা।

মুরাদুল ইসলাম