যখন মানুষ প্রাণী পুষে তখন ওই প্রাণীরে আসলে…

যখন মানুষ প্রাণী পুষে, তখন ওই প্রাণীরে আসলে সে অধিকার দেয় না। বরং, ওই প্রাণী তার উপর নির্ভরশীল থাকে সারাজীবন, এবং এই নির্ভরশীল থাকাটা পোষার মেইন পয়েন্ট।

পোষ মানা হল বশ্যতা স্বীকার করে নেয়া। তার দাস হওয়া। মানুষের সিভিলাইজেশনে পশুরে পোষ মানাইছে তারা দাস বানাইতে। কাজ করাইতে।

ঘোড়া দিয়া গাড়ি চালাইতে, গরু দিয়া হালচাষ, হাতি যুদ্ধে, কুত্তা শিকার-যুদ্ধ-পাহারা ইত্যাদি।

আধুনিক কালে শিক্ষিত হিপোক্রেট মিডলক্লাস যে পুষে প্রাণী এটা তার সাইকোলজিক্যাল নিডের জন্য। তার ভালো লাগার জন্য। এবং এখানেও ওই নন হিউম্যানরে সে অধিকার দেয় না, বরং পুষে বা স্লেইভ হিসেবেই রাখে। অপারেশন করে বন্ধ্যা করায়, থাবার নখ কাটে, এবং যদি কোন পোষা প্রাণী তার জন্য ক্ষতিকর হয়ে উঠে, তারে সরায়।

ডমেস্টিকেশনের কোন সম্পর্ক ন্যাচারাল হয় না। পোষা অর্থই আপনে যারে পোষ মানাইছেন তারে ঔন করে নিছেন। তখন তারা হয় প্রপার্টি।

এখানে আরেকটা অন্য পয়েন্ট বলি, মূর্খের প্রেম অলওয়েজ ক্রুয়েল হয়। কারণ মূর্খ ভালো মন্দ বিষয়ে চিন্তা করতে পারে না। আবেগ থেকে লাফায়। মনে করে যে, প্রেম মানে হইল ঐ এনটিটিরে তার মনের মত বানানো, এটা করতে গিয়াই ক্রুয়েলটি করে। পোষ মানানোই তার কাছে প্রেম। ফলত, মূর্খ সম্পর্কের ক্ষেত্রে অপরপক্ষরে ডিনাই করে। এবং এই ক্রুয়েলটি না ধরতে পেরে বুঝে সে মানবিকতাই করছে, যেটা আরো ভয়ংকর, অর্থাৎ সে আনকনশাস মনস্টার।

মুরাদুল ইসলাম