ইসলামিক ফেমিনিজমের আলাপ গুরুত্বপূর্ন।এবং এই আলাপ আসলে মরোক্কান…

ইসলামিক ফেমিনিজমের আলাপ গুরুত্বপূর্ন।

এবং এই আলাপ আসলে মরোক্কান ফেমিনিস্ট ফাতিমা মারনিসির নাম আসতে হবে। গতবছর সম্ভবত তার বিয়ন্ড দ্য ভেইল থেকে এক অংশ একটা লেখায় পাই। এক প্যারা শেয়ার করেছিলাম। তখনই প্রথম ইসলামিক ফেমিনিজম কনসেপ্টটার সাথে পরিচয়।

মারনিসি দেখাতে চাইছেন ইসলামিক বিশ্বে মহিলাদের দমন করে রাখা হয় তাদের দুর্বলতার জন্য না। বরং তাদের সেক্সুয়াল পাওয়ারের জন্য, শক্তিরে স্বীকার করে, যেইজন্য ঢেকে রাখা হয়, যেই পাওয়ার পুরুষ সামাজিক স্ট্র্যাকচার ভেঙ্গে ফেলবে বলে ধারণা। অন্যদিকে, পশ্চিমা বিশ্বে মহিলাদের ইনফিরিয়র ধরা হয় তারা শারীরিক ও মানসিক ভাবে দূর্বল এই কারণ দেখিয়ে। এখানে একটা বড় পার্থক্য তিনি দেখান।

তিনি ইসলামিক টেক্সট রি-ইন্টারপ্রেট করে দেখান যে, মহিলাদের অধীন করে রাখা, বাধ্যগত নারীর ধারণা মূল ইসলামে নাই। এটা পরবর্তীকালে উলেমাদের আবিষ্কার। তিনি জানান, ইসলাম ব্যাখ্যা ও অনুমান করেছেন পুরুষরা, এবং তারা পুরুষতন্ত্র বজায় রাখতে ম্যানিপুলেশন করে গেছেন।

তিনি উদাহরণে বলেন নবীর সময়ে সাহাবী হইতে পারতেন নারীরা, এবং নানা ইস্যুতে তর্ক বিতর্কও করতে পারতেন।

মারনিসি গাজ্জালি ও ফ্রয়েডের টেক্সট তুলনা করে দেখান, ফ্রয়েডের টেক্সটে নারী ও পুরুষের আলাদা যে ভাগ আছে, যেটা পশ্চিমা বিশ্বে এখন প্রধান ধারণা নারী পুরুষ সেক্সুয়াল ভাগ বিভাজনে, সেটা গাজ্জালিতে অনুপস্থিত। বরং গাজ্জালি নারী পুরুষ ভাগ বিভাজনরে সামাজিক নির্মান হিসেবে দেখেছেন।

মুরাদুল ইসলাম