নায়ক ওমর সানী ও জায়েদ খানের ঘটনায় জ্যাক…

নায়ক ওমর সানী ও জায়েদ খানের ঘটনায়, জ্যাক লাকার কথা আসে। তিনি তার লেকচারে, সাইকোটিক ফেনোমেনোন এবং এর মেকানিজম বুঝাইতে বলছিলেন, যদি কোন জামাই সন্দেহ করে তার বউ চিটিং করতেছে, এবং সত্যি সত্যি তার বউ চিটিং করে থাকে, তাও জামাইর সন্দেহটা প্যাথলজিক্যাল।

ডিল্যুশনাল জেলাসির জন্য ফ্যাক্ট কী তা ম্যাটার করে না কারণ এখানে যে জিনিশটা মূল, জামাই মনে করতেছে যে তার স্ত্রী তারে ঘৃণা করে।

স্ল্যাভোয় জিজেক এই এনালাইসিসরে অন্যান্য জায়গায় প্রয়োগ করেন ও বর্ধিত করেন। যেমন জর্মন দেশে নাৎসিরা মনে করত ইহুদিরা জর্মনীর ধ্বংসের জন্য দায়ী, জর্মন মেয়েদেরকে ভুলাইয়া ভালাইয়া প্রেম করে ইত্যাদি, এই ক্লেইমগুলা যদি ধরে নেন সত্যি, তাও নাৎসিদের প্যারানয়া, তাদের সাইকোপ্যাথিক জেলাসি ন্যায্য হয় না। কারণ তাদের আইডোলজি, জর্মন বিশুদ্ধতা ও ইহুদিদের বিনাশে বিশ্বাস, যেইটা জেলাস জামাইর ক্ষেত্রে হয়, বউ তারে ঘৃণা করে।

একইভাবে এটা বিজেপি ভারতের ক্ষেত্রে ঠিক। বিজেপির উগ্র অংশ যে ক্লেইম করে, মুসলিমরা মৌলবাদী, লাভ জিহাদ করে, এগুলি তর্কের খাতিরে সত্য ধরে নিলেও তাদের অবস্থান আদর্শগত প্যাথোলজি।

একই জিনিশ সত্য ইমগ্র্যান্টদের প্রতি ইউরোপিয়ান ডানপন্থীদের সন্দেহে, রোহিঙ্গাদের প্রতি বাংলাদেশের কিছু অংশের সন্দেহে। সন্দেহের কারণ সত্য না মিথ্যার চাইতে দেখতে হবে সন্দেহের মূল কী, সন্দেহের মূলে গেলে দেখা যাবে তার আইডোলজি বিদ্বেষের। সন্দেহ এখানে বিদ্বেষের মাস্ক হিশাবে কাজ করে।

লাকার জেলাস জামাইর সন্দেহ আমাদের তার বউয়ের চিটিং সম্পর্কে না, বরং তার সম্পর্কেই তথ্য দেয়। সানীর ক্ষেত্রে এইখানে, মৌসুমীরে নিয়া তার এই অবসেশনের, প্যারানয়ার কারণ কী। ঘটনাটা জায়েদের না, মৌসুমির না, সানীর।

মুরাদুল ইসলাম