তৈমুর,হিটলার বা মীর জাফর আলী খানে কী সমস্যা?

সাইফ আলি খান ও কারিনা কাপুর, বলিউডের দুই নায়ক নায়িকা তাদের সন্তানের নাম রাখছেন তৈমুর। এতে ভারতের অনেক লোক ক্ষুব্ধ হইছেন। তৈমুর লং নামে একজন বুশ ছিলেন, তিনি অনেক মানুষ হত্যা করছেন যুদ্ধ যুদ্ধ খেলায়।

এই ঘটনা নাম বিষয়ে মানুষের এক ধরনের অবস্থান আমাদের সামনে আনে। বাংলাদেশ কেউ মীর জাফর নাম রাখে না। জাফর রাখলে মীর রাখে না, মীর রাখলে জাফর রাখে না। এই ভয়ে যে তাদের সন্তান যেন মীর জাফরের মত বিশ্বাসঘাতক না হয়। অথবা মীর জাফরের প্রতি ঘৃণার প্রকাশ হিসেবে। বাস্তব কারণ হিসেবে এটাও ধরা যায়, তাদের সন্তানকে লোকে মীর জাফর বলে চেতাইতে পারে এই আশংকায়।

কিন্তু নাম তো নামই। নামে কী আসে যায়। মীর জাফর নাম না রাইখা এই দেশে বিশ্বাসঘাতকতা দূর করা গেছে এমন মনে হয় না। আবার হিটলার নাম না রাইখা দেশে দেশে অন্যায় আগ্রাসন বন্ধ করাও যায় নাই।

নাম আমরা ঘৃণা করব না কার্য, এটা ভাবতে হবে। হিটলার নাম রাখলে হিটলারের কার্যের সেলিব্রেশন হয় কি, যদি মা-বাপেরা হিটলারের মতাদর্শ বিরোধী হইয়া থাকেন?

নামের প্রতি অধিক গুরুত্ব আরোপের ফলে একটা সমস্যা হয়। নতুন নামদারী হিটলারেরা উঠেন আস্তে আস্তে, তাদের কার্যে তা প্রমাণ হইতে থাকে কিন্তু মানুষেরা কার্যের দিকে না তাকাইয়া পুরানা নাম হিটলারের দিকে তাকাইয়া থাকেন।

দুইজন ব্যক্তির একই নাম হইলে, তারা একইরকম হইবেন এমন কোন কথা নাই। এটা হইলে লোকে হাজার হাজার আইনস্টাইন বানাইত বছর বছর আর আমরা মঙ্গল গ্রহ ইত্যাদি থেকে স্ট্যাটাস দিতে পারতাম। কেউ যদি তার সন্তানের নাম হিটলার রাইখা তারে নাজি বিরোধী বানাইতে পারেন, তা ভালো, এবং এন্টি সেমেটিজম বিরোধী তার এক অভিনব প্রতিবাদ হিসেবে ধরা যাইতে পারে

মুরাদুল ইসলাম