ভক্তকূল

ফ্যান তথা ভক্ত হইল গুরুর খাদ্য বলছিলেন হুমায়ূন আজাদ সাহেব। কিন্তু কথাটি ঠিক নয় সব ক্ষেত্রে।

অনেক সময় ভক্তাভক্তিরা যার ভক্ত তারা, তারে খাইয়া ফেলে। যেমন আমাদের মোশাররফ করিম সাব। তিনি আজে বাজে নাটক অনেক করলেও অভিনেতা ভালো, আর্টের ভালো খারাপ বুঝতে পারেন বলেই মনে হয়। তার বক্তব্য বদলাইতে হইছে ভক্তাভক্তির চাপে। কারণ এমন এক ক্লাসের হিরো তিনি হইছেন যাদের মনরক্ষার জন্য তার নিজেরেই এক প্রকার বিসর্জন দিতে হইল।

তাই বনসাই ভক্ত আপনার বেশী থাকলে সেই মাপে আপনি নিজেই বনসাই হইতে থাকবেন। হুমায়ূন আহমেদের নাটকের ডায়লগ যেমন দর্শক গু খাইতে থাকলে দিতে হবে গু। কিন্তু এখানে সমস্যাটা হইল গু দিতে দিতে আপনি একসময় হইয়া যাবেন গু এর ফ্যাক্টরি।

এটা ফেইসবুকের ফানমারানি লেখকদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। কোন এক ফানমারানি হঠাৎ ধরেন বুদ্ধিমান হইয়া উঠল, সে কিন্তু তখন ভক্তদের চাপের মুখে পড়বে।

এমন একজন কন্সপিরেসি থিওরীর নেতা ছিল। প্রচুর ভক্ত তার। ঘটনাক্রমে হঠাৎ বুঝতে পারছিল যেটা সে প্রচার করছে তা ভুল। সে তখন তার ভুল হইছে এইটা প্রচার করতে গেলো, কন্সপিরেসী থিওরীর বিরুদ্ধে বলল। কিন্তু ভক্তরা মানবে কেন? ভক্তরা তার প্রাণ অতিষ্ট কইরা তুললো, তার প্রাণ সংশয় হইল। তার আত্মীয় স্বজনরে ভক্তরা নানা ভাবে হ্যারাস করতে লাগলো। পরে নেতাটি আত্মগোপন করে, এখন ভিন্ন নাম পরিচয় নিয়া গোপন জায়গায় বাইচা আছে।

মুরাদুল ইসলাম