ফেইক আইডি ও মুখোশ বিষয়ে

এক

ফেইক আইডির মূল সমস্যা এটা নয় যে সে ফেইক। ফেইকতার বিচারে সব আইডিই ফেইক।

ফেইক আইডির সমস্যা হলো খেলায় তার স্কিন নাই।

রিয়াল আইডি এমন কিছু করে না বা করতে চায় না যাতে তার ব্যক্তি ভাবমূর্তির ক্ষতি হয়। ফেইক আইডির ক্ষেত্রে এই জিনিস থাকে না, ফলে সে বেশী সুবিধা নিয়ে অবস্থান করে।

 

 

দুই

অস্কার ওয়াইল্ডের কথা আছে না, মানুষের ট্রু নেচার জানতে তারে একটা মুখোশ দেন। কিন্তু এই মুখোশ আসলে কী, এতে কী হয়?

মুখোশে আইডেন্টিটি ঢাকা যায়, এনোনিমাস হওয়া যায়।

আইডেন্টিটি কী? একটা এগ্রিম্যান্ট। একটা স্বীকৃতি। আপনি অমুক-তমুকের সন্তান, আপনার এই শিক্ষা সার্টিফিকেট, জন্ম নিবন্ধন-পাসপোর্ট, আপনার এই এই সামাজিক স্ট্যাটাস- কাজ, বন্ধুরা-আত্মীয়রা তথা আপনার গোষ্ঠী- এসব আমরা সামাজিক ভাবে মানলাম, আমাদেরটাও আপনি মানলেন। এটা আইডেন্টিটি।

আইডেন্টিটির পরে আমাদের আরো এগ্রিমেন্ট হয় সমাজে থাকার জন্য একসাথে। যেমন, আপনি আমারে গুলি করবেন না, আমার গায়ে এসে থুতু ফেলবেন না, গুম করে ফেলবেন না। আমিও একই জিনিস আপনার সাথে করব না। আমাদের এই যে একটা চুক্তি আছে, এটাই অধিকার। ব্রড সেন্সে সামাজিক বা বৈশ্বিক মানবাধিকার। অধিকার একটা পারস্পারিক এগ্রিমেন্ট। একজন এটা ভঙ্গ করলে আমরা তার আইডেন্টিটি ধরে তাকে বের করি ও শাস্তি দেই, সামাজিক ব্যবস্থায়।

ফেইক বা এনোনিমাসের ক্ষেত্রে যেহেতু আইডেন্টিটি থাকে না, তাই তার এই এগ্রিমেন্ট রক্ষার দায় থাকে না। তার স্কিন খেলায় থাকে না। সে কিছু করলে আপনি ধরতে পারবেন না। ধরেন, অদৃশ্য হওয়া যায় এমন যাদুর আংটি একজন পাইল। এই ইনবিজিবল ম্যান তো যাচ্ছে তাই করে বেড়াবে, আপনি তারে কী আর ধরতে পারবেন!

মুরাদুল ইসলাম