কান বিষয়ক

শিক্ষকরে কান ধরানোর প্রতিবাদ করতে গিয়া কানে ধইরা ছবি পোস্ট আমারে দানি আলভেজের কথা মনে করাইয়া দেয়। দানি আলভেজরে যখন ভিলারিয়ালের এক দর্শক কলা ছুঁইড়া রেসিয়াল এটাক করছিল, তখন সে তা খাইয়া ফেলে। এরপর অন্য ফুটবলার এবং সমর্থকেরা কলা খাইতে খাইতে ছবি দিছিলেন ফেইসবুকে। ইউরোপিয়ান রেসিস্ট দর্শক দানি আলভেজরে বান্দর বুঝাইতে চাইছিলো, অন্য ফুটবলারেরা এর প্রোটেস্টে খাঁড়াইয়া কলা খাইয়া বুঝাইলেন, আমরাও কলা খাই।

এই প্রোটেস্ট খালি ওই দর্শকের বিরুদ্ধে ছিল না, ছিল সব রেসিস্ট দর্শক বা রেসিজমের বিরুদ্ধে। হাজারো রেসিস্ট লোকেরা আছে মনে ও মগজে, ওই কলা ছুঁইড়া দেয়া দর্শকের মত। কিন্তু তারা নির্দিষ্ট নয়। ফলে এই আন্দোলন বা প্রতিবাদ ভাইরাল হইয়া একটা শক্ত মেসেজই গেছে অপ্রকাশ্য রেসিস্টদের কাছেও।

শিক্ষকের উপরে যে অন্যায় করছে সে একজন সাংসদ, তার শক্তির উৎস মানুষেরা জানেন। একজন গোলিয়াথ সে।

তার অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে গিয়া কান ধইরা ছবি দিবেন কোন দু:খে? অপরাধী তো নির্দিষ্ট এইখানে। আবার অনেকরে বলতে দেখছি আমরা সবাই অপরাধী! সেলিম ওসমানের অপরাধের ভাগ কেন নেন আপনারা?

 

কান ধরা একটি পশ্চিমা প্রতিবাদ। পশ্চিমারা দেখবেন এই ধরনের প্রতিবাদ করে বিভিন্ন ইস্যুতে।

পশ্চিমে ডেমোক্রেসি আছে কিছু, ফলে এই ধরনের প্রতিবাদে কাজ হয় (মে বি)। কিন্তু এশিয়ান অথরিটির লগে এসব প্রতিবাদ কাজ করবে না। উলটা তা অথরিটির পক্ষ হইয়া কাজ করবে সিরিয়াস ইস্যুদের হালকা বানাইতে।

এরকম আন্দোলনে আরামপ্রিয় বুর্জোয়াদের সুবিধা আছে। অথরিটি লাঠিপেটা জাতীয় একশন নিবে না, প্রথমে অবাক হইয়া দেখতে দেখতে মজা নিবে। নয়া জিনিস, ক্রিয়েটিভও, দেখতে মজা লাগে। পুরানা হইলে ধামকি দিতে পারে।

তবে আরেকটা ব্যাপারও আছে। এইসব আন্দোলন ভাইরাল হওয়ার চান্স বেশী। আন্তর্জাতিক মিডিয়া আচার হিসেবে এইগুলা খায় ভালো। এইদিক দিয়া অথরিটির কিছুটা দুশ্চিন্তার অবকাশ আছে।

মুরাদুল ইসলাম