হুমায়ুন আহমেদের আজ রবিবার নাটকে দেখা যায় আতংকগ্রস্থ…

হুমায়ুন আহমেদের আজ রবিবার নাটকে দেখা যায় আতংকগ্রস্থ নুর ভাই এক ঘরে আশ্রয় নিছেন এর মাঝে বাড়ির চাকর মতি মিয়া তারে জিগায়, আসেন রজনীতি নিয়া কথা বলি, আমরা কি পানি পাব?এইরকমই একটা দৃশ্য ছিল।

মধ্যবিত্ত এইটারে হাসির দৃশ্য মনে করেন, করছেন। এখন চিন্তা কইরা দেখেন, কামলা শ্রেণীর লোকেরা এই দৃশ্য দেখলে এইটারে হাসির মনে করবে না। এইখানে হাসির কি আছে বুঝতেই তার বেগ পাইতে হইব।

মধ্যবিত্তের কাছে এই জিনিস হাসির হইছে, কারণ শিক্ষিত, অল্পশিক্ষিত মধ্যবিত্তরা চাকরের মুখে এইরকম কথা শুনতে চান না। কারণ তারা জানেন এই চাকর এই গুরুত্বপূর্ন বিষয়ের কিছু জানে না। (যদিও তারা নিজেরা মনে করেন তারা জানেন, তলাইয়া দেখলে দেখা যাবে তারাও জানেন না। কিন্তু না জাইনাও তারা জানেন ভাবেন।)

এবং তাদের কাছে এই দৃশ্য হাসির লাগছে মতি মিয়ার নির্বুদ্ধিতা দেইখা। এইরকম পরিস্থিতিতে কেউ এমন কথা কয়? কত বড় গর্দভ, এমন ভাইবাই হাসি আইল।

হাস্যরসের প্লেটোর সুপিরিয়রিটি থিওরীতে পড়ে এইটা। তারা নিজেরে সুপিরিয়র মনে কইরা হাসছেন।

মধ্যবিত্তের হাসি উপন্যাসের মহানায়ক হুমায়ূন এই জিনিসটা দেখাইছেন ভালো। চাকররে দিয়া নির্বুদ্ধিতাটা করাইছেন, যাতে লোকে বেশী সুপিরিয়র মনে কইরা হাসতে পারে। তাদের হাসি আসে।

হুমায়ূন চাকরদের দিয়া কৌতুক করাইছেন বা এই শ্রেণীতত্ত্ব আমার এইখানে পয়েন্ট নয়, সেইটা অন্যেরা আলোচনা করতে পারেন বিস্তারিত হুমায়ুন পাঠ কইরা। আমার পয়েন্ট হাস্যরসের সুপিরিয়রিটি থিওরী, এইটাই বাঙালী রম্য লেখকদের একমাত্র অস্ত্র হইয়া আছে এখনো। তারা হুমায়ূনের ভগ্নাংশ হইয়াই রইলেন।

মুরাদুল ইসলাম