মিডলক্লাস ন্যারেটিভের সমস্যা

ঢাবির এক ছাত্র কালো হওয়ার কারণে লাঞ্চনার শিকার হইতেন, এবং এক পর্যায়ে ৩য় বর্ষে উঠে তিনি ছাঁদ থেকে লাফিয়ে পড়েন।

তিনি এই মানসিক চাপ নিতে পারেন নি। সাথে আর্থিক সমস্যা, ও ডিপার্টমেন্টের চাপ।

সব রাখাল বালকই ব্যাংকের গভর্নর হইতে পারে না। এমনকী ঢাবিতে ফিনান্স বা ফাইনান্স বিভাগে চান্স পাইলেও তারে আরো নানা সামাজিক নির্যাতন ও চাপের মধ্য দিয়া যাইতে হয়।

গভর্নর আতিউরের গল্পের সমস্যা এইটা ছিল না যে তিনি গভর্নর হইছেন।

গভর্নর আতিউরের গল্পের এইটাও সমস্যা না যে তিনি ব্যাংক ডাকাতিতে সহায়তা করছেন।

গভর্নর আতিউরের গল্পের মূল ও প্রধান সমস্যা হলো, গর্দভ ও তৃতীয় শ্রেণীর বুদ্ধিমত্তার মিডলক্লাসের সমাজ বিষয়ে আত্মতৃপ্তি। তারা এই গল্পের প্রচার এই আনন্দেই করেছিল যে এই সমাজে রাখাল বালকদের গভর্নর হওয়ার সুযোগ আছে, কিন্তু ঢাবির এই ছাত্রের মৃত্যু তো আবারো দেখাইয়া দেয় যে আতিউর ওয়াজ এন এক্সিডেন্ট।

মিডলক্লাসের উচিত আয়নায় নিজের কুৎসিত চেহারাটা দেখা। প্রতিদিন দুইবার। সকালে ঘুম থেকে উঠে, আর রাতে ঘুমাতে যাবার আগে।

তাতে হয়ত তারা একটু কম বর্ণবাদী, কম হিপোক্রেট, ও কম নষ্ট হয়ে জীবন যাপন করতে পারবে।

মুরাদুল ইসলাম