ভাইরাল হওয়া গায়ক ও ব্যবসায়ী ভুবন বাদ্যকরের এক…

ভাইরাল হওয়া গায়ক ও ব্যবসায়ী ভুবন বাদ্যকরের এক ক্লিপ দেখলাম কয়দিন আগে। তিনি বলছেন বাদাম বিক্রি করবেন না কারণ তিনি এখন সেলিব্রেটি হয়ে গেছেন। তার এই কথা নিয়ে মানুষ হাসাহাসি, সমালোচনা করেছে।

তারা এটাকে দেখেছে অহংকার হিসেবে।

ভুবন অবশ্যই তারে যারা ভাইরাল করেছে সেই মিডল ক্লাসের না। তার নিচের ফকুন্নি ক্লাসে থাকা লোক। শিক্ষা দীক্ষার ট্রেনিং নাই তাই তার কথাবার্তা আলাদা। তিনি গুছিয়ে বলতে পারেন না। তার লাইফস্টাইল, এবং জীবন নিয়া বুঝও ভিন্ন হওয়া স্বাভাবিক।

আজ দেখলাম ভুবনের আরেক ক্লিপ। সেইখানে তিনি বলছেন, বাদাম বিক্রি করব না এই কথা বলি নাই।

তিনি তার আগে বলা কথার চাপ অনুভব করেছেন। ভাইরাল করা লোকেরা তারে আবার ভাইরাল সমালোচনা করছে, রিপোর্টার জিজ্ঞেস করছে, ফলে উত্তরও তারে দিতে হল।

এইটা সমাজের এক ইন্টারেস্টিং দিক দেখায়।

মিডলক্লাস যখন কোন গরীব বা ফকুন্নিরে উপরে তুলে, তখন তারা চায় ফকুন্নি যেন মিডলক্লাসের ভ্যালু নিয়াই উপরে উঠে।

উক্ত ঘটনায় মিডলক্লাস ভ্যালু হইল, কখনোই অহংকার প্রকাশ পায় এমন কিছু বলা যাবে না। বলতে হবে, এই বাদামই আমারে সব দিছে। তাই আমি আজীবন বাদাম খাব, বাদাম বিক্রি করব, বাদামী ড্রেস পড়ব, আর বাদামের গাছ লাগাইয়া অরণ্য তৈরি করব, যার নাম দিব বাদামারণ্য। সেইখানে অভুক্তদের কাচা বাদাম খাওয়ানো হবে।

মিডলক্লাস উপরে তুললে চায়, ওই ব্যক্তি যেন তাদের জীবনবোধ, আচার, কালচার ইত্যাদি নিয়াই বিরাজ করে। লোকটারে আর নিজের মত থাকতে দিতে চায় না।

মুরাদুল ইসলাম