বাংলাদেশী এক অভিনেত্রী এক ইউটিউব সাক্ষাৎকারের ভিডিওর থাম্বনেইল…

বাংলাদেশী এক অভিনেত্রী এক ইউটিউব সাক্ষাৎকারের ভিডিওর থাম্বনেইল দেখছিলাম। সেখানে লেখা অভিনেত্রীর বলছেন, আমি হাহা দিয়েছি পোস্টে তাই আমারে নেয় নাই বা বাদ দিছে পরিচালক, এরকম কথা।

এই অভিনেত্রী যেইরকম বোকা চালাক, সেইরকম অসংখ্য চালাকদের পাবেন ডিজিটাল সমাজে। অভিনেত্রী এইখানে বুঝাইতে চাইছেন, হাহা যেন এক নির্দোষ জিনিস। এবং সেই নির্দোষ জিনিশের জন্য তিনি শাস্তি পাইলেন।

একটা ভিক্টিম গেইম খেললো এখানে, হাডুডুর পরে বাঙালির জাতীয় খেলা এটা অবশ্য।

প্রকৃতপক্ষে, মানুষের ইন্টারেকশনে ভারবাল যোগাযোগের এক অংশ হচ্ছে হাসি। একেক ধরণের হাসি, ভিন্ন ভিন্ন কনটেক্সটে কিছু জিনিশ মিন করে, যেটা বক্তা বুঝাইতে চায়।

যেমন, আপনে গুরুত্বপূর্ণ আলাপ করতেছেন, একজন এসে বলল কি মিয়া ফালতু আলাপ করতেছেন। আর আরেকজন হুহু করে হেসে উঠল। দুইজন আসলে একই ধরণের কাজ করল। একজন হাসি ইউজ করেছে, আরেকজন সরাসরি ভাষা।

অঙ্গভঙ্গিও অর্থ মিন করে। কিন্তু হাসি আরও সরাসরি, ভারবাল যোগাযগেরই অংশ।

ভাষা দ্বারা যেমন কাউরে আক্রমণ করা যায়, বা নিজের কম বুদ্ধি বা বেশি বুদ্ধি দেখানো যায়, হাসি দিয়াও যায়। ভাষা দিয়া আপনি কাউরে আক্রমণ করে প্রতি আক্রমণ খাইতে পারেন যেমন, হাসি দিয়া একই অর্থ মিন করে একইরকম কিছু পাইতে পারেন। যেমন, ঐ অভিনেত্রী পাইছেন। কিন্তু তার চালাকি হইল, তিনি ভাব ধরতেছেন যেন কিছু করেন নাই।

তিনি ব্যক্তি কে তা গুরুত্বপূর্ণ না, নাম ভুলে গেছি। কেবল থাম্বনেইল দেখা। পয়েন্ট হলো, হাসি যে ভারবাল কমিউনিকেশনের অংশ তা যেন আমরা না ভুলি।

মুরাদুল ইসলাম