পাকিস্তান আমলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া ছাত্ররা ছিল দেশের…

পাকিস্তান আমলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া ছাত্ররা ছিল দেশের লোকের জন্য বাড়ির শিক্ষিত পোলা, যে হিসাবপত্র বা বাইরের চালাকি ধরতে পারবে। টিপসই নিয়া বাপের জায়গা কেউ নিতে পারবে না এই পোলার জন্য। দেশের প্রতি হওয়া অন্যায় অবিচার এই পোলারা বুঝে। এর প্রতিবাদ করে। এইজন্য মানুষ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পড়া বা ছাত্রজনতার পক্ষে ছিল।

বাংলাদেশ স্বাধীনের পরে এই বাস্তবতা কমেছে। এইজন্য ফিল্ম হইছে, সমাজের আরেক বাস্তবতা নিয়া, যেখানে বাড়ির শিক্ষিত পোলা শিক্ষিত হইয়া আর মা বাপরে চিনে না।

বউ নিয়া শহরে থাকে, বা বাপরে দিয়া কাজ করায় শেষ বয়েসে আর পরিচয় দিতে লজ্জা পায়, আর তখন রাজ্জাক ফিল্মে অভিনয় কইরা এই প্রশ্ন সামনে আনেন, বাবা কেন চাকর?

এই ফিল্মি বাস্তবতার অস্থির চিত্র আসলে সত্যিই। শিক্ষিত পোলারাই তখন দেশরে মাইরা খাইছেন। নব্য স্বাধীন দেশের সুবিধাদী নিয়া দেশের তথা দেশের মানুষের ক্ষতি কইরা গেছেন।

আর এখনকার টাইমে ব্যাপারটা আরেকটু আগাইছে। এখনকার শিক্ষিতরা শিক্ষিত হইয়া বিসিএস দিবেন, সরকারী অফিসার হইয়া “স্যার” হয়ে যাবেন ও “স্যার” না ডাকলে মাইর দিবেন। এই বাস্তবতায়, ইউনিভার্সিটির ছাত্ররা আন্দোলন করলে পাবলিক অত মাথা ঘামায় না।

মুরাদুল ইসলাম