কিন্তু এই যে মেয়েরা সিগারেট খাইলে সমাজের মানুষ…

কিন্তু এই যে মেয়েরা সিগারেট খাইলে সমাজের মানুষ তাদের খাইতে দিচ্ছে না, চরম প্রতিক্রিয়া দেখাইতেছে, ইভেন ধর্ষণ করে ফেলার কথা আনতেছে, এটার ব্যাখ্যা কী?

সাধারন সিগারেট খাওয়া নিয়া তারা এমন সিজোফ্রেনিক আচরণ কেন করে? তাদের মূল শক্তির জায়গা হল পুরুষাঙ্গ। একে কাল্পনিক শক্তির উৎস ধরেই তাদের পুরো জীবন। বাস্তবিক জীবনে এরা লুজার, এই পুংলিঙ্গ ছাড়া তেমন কোন অর্জন নাই। না পারা জনিত হীনম্মন্যতা কাটাতে তাদের একমাত্র আশ্রয় হয় পুরুষাঙ্গ। মেয়েদের চাইতে তারা নিজেদের বেটার ভাবে, মনে করে মেয়েদের ইনফিরিয়র কারণ তাদের পুংলিঙ্গ নাই।

কিন্তু, যখন কোন মেয়ে সিগারেট খায় সে দেখে, তখন সে দেখতে পায় মেয়েটির পুংলিংগপ্রাপ্তি হয়েছে। যে ‘ল্যাক’ মেয়ের ছিল তা আর নাই। যে কারণে মেয়েদের সে ইনফিরিয়র মনে করে, সে মারাত্মক ভয় পায় যে, ওই অবস্থা আর থাকবে না কারণ লিঙ্গপ্রাপ্তির ফলে মেয়ে আর তার প্রভেদ থাকল কই। মেয়েদের সবার পুংলিংগ হয়ে গেলে, কীভাবে সে নিজেকে তাদের চাইতে সেরা মনে করতে পারবে?

সিগারেট এখানে আর সিগারেট থাকে না। পুরুষাঙ্গের রূপকে পুরুষাঙ্গকে প্রতিস্থাপিত করে। ধর্ষণের কথা আসছে এই কারণে, তারা থ্রেটেন্ড ফিল করেছে সিজোফ্রেনিক রোগির মত। মেয়েরে স্মরণ করিয়ে দিতে চেয়েছে তার যে পুরুষাঙ্গ নেই।

মুরাদুল ইসলাম