কুত্তারে মানুষ অনেক আগে ডমেস্টিকেট করছে। লেখা শেখারও…

কুত্তারে মানুষ অনেক আগে ডমেস্টিকেট করছে। লেখা শেখারও আগে।

আগে জঙ্গলে মানুষ দলবেঁধে থাকতো। আর জায়গা বদলাইত। কারণ এক জায়গায় ফুড দীর্ঘদিন মিলত না।

মানুষেরা ছিল বাজে শিকারি। দ্রুত দৌড়াইতে পারত না, তেমন অস্ত্রও ছিল না। শিকারে গেলে দেখা যাইত আহত করছে প্রাণীরে কিন্তু প্রাণী ভাইগা গেছে।

ওই ভাইগা যাওয়া প্রাণী কিছুদূর গিয়া হয়ত উইক হইয়া যাইত। আর তখনই দৃশ্যপটে আসত নেকড়ে। এই কুত্তাদের বাপ।

নেকড়েরা টের পাইল এই মানুষগুলার কাছে কাছে থাকলে লাভ আছে। ইজি শিকার মিলে। তাই তারা মানুষের আসে পাশে থাকতো।

সেইখান থেকেই তাদের পোষ মানানি শুরু।

আর ডমেস্টিকেটিত মানেই নিজের নিজস্বতা বিসর্জন দেয়া। তাদের স্লেভ হওয়া। যে প্রাণীগুলারে মানুষ ডমেস্টিকেট তাদের সাথে হাজার হাজার বছর ধরে কী ব্যবহার করে যাইতেছে সেই ইতিহাস দেখলেই বুঝবেন।

কুত্তার জীবন দেখেন, হায় একটা কুত্তারই জীবন, মানুষ গাইল দেয়। আর নেকড়ের লাইফ দেখেন, এখনো সে তার স্বাধীনতা নিয়া আছে বনে জঙ্গলে। পাহাড়ে পর্বতে, চেঙ্গিস খানের ভাগ্যদেবতা।

মুরাদুল ইসলাম