একটা প্রশ্ন ছিল শপিং করা যাদের নেশা বা…

একটা প্রশ্ন ছিল, শপিং করা যাদের নেশা বা হপাহোলিক যারা, তাদের এই করোনা কালে কীভাবে নিবৃত্ত রাখা যায়?

যারা শপহোলিক বা শপিং করা যাদের নিশা, তাদের এই নিশাটার কারণ কী, সেইটা আগে বুঝার ট্রাই করতে হবে।

এইরকম শপ করাদের অনেকেই লাইফে কন্ট্রোলের এক তীব্র আকাঙ্খায় থাকেন। কিছু না কিছু ত মানুষ কন্ট্রল করতে চায়। তো এরা শপ কইরা জিনিসরে নিজের কইরা আনার মধ্য দিয়াই এই অশান্ত দুনিয়ার উপর নিজেদের কন্ট্রোল প্রতিষ্ঠা করার সুখ পান।

ফলে দেখবেন অপ্রয়োজনীয় জিনিসও তারা ক্রয় করেন। যেইগুলা হয়ত কোনদিন ইউজও করেন না।

করোনার কালে তারা যেহেতু শপিং করতে পারতেছেন তাই কন্ট্রোল করতে না পারার কারণে তাদের মানসিক অবসাদ বা বিষন্নতা আসতে পারে।

এই অবস্থা দূরীকরণে আপনে তাদেরকে এমন কিছু দিতে পারেন, যেইটা করার মাধ্যমে তারা কন্ট্রোলের চাহিদাটা পূরণ করতে পারেন।

পুরান এক গল্প আছে প্রচলিত। এইখানে বলি, প্রাসঙ্গিক বিধায়।

এক লোকের চুরির অভ্যাস ছিল। গরু চুরি করতেন উনি। বুড়া বয়সে চুরি ছাড়তে হইছিল ছেলেদের চাপে। কিন্তু রাইতে তার ঘুম আসতো না। তিনি উইঠা যাইতেন। পোলা একদিন দেখতে গেল বাপ কই যান। গিয়া দেখল বাপ নিজেদের গোয়ালের গরুই এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নিয়া বান্ধেন।

এই গল্পের মেসেজটা বলা হয়, মানুষের অভ্যাস নাহি যায়।

কিন্তু আমি আরেকটু অন্যভাবে দেইখা বলতে চাই, এইটা আসলে ভদ্রলোকের লাইফের মিনিং ছিল। একটা কন্ট্রোল তিনি এইভাবে প্রতিষ্ঠা করতেন দুনিয়ার উপরে। সেইটা কাইড়া নিলে তার নাই নাই লাগবে সব কিছু।

শপহোলিকদের ক্ষেত্রেও এইটা। এই বুড়া ভদ্রলোক যেইভাবে নিজের গোয়ালের গরু বান্ধাবান্ধি করছেন, এমন একটা জিনিস তাদের ধরাইয়া দেন।

মুরাদুল ইসলাম