আমি বলছিলাম গুম থেকে ফিরে আসাটা বেশি ভয়ংকর।এর…

আমি বলছিলাম গুম থেকে ফিরে আসাটা বেশি ভয়ংকর।

এর মানে এই না যে আমি চাইনা মানুষ ফিরে আসুক। বেঁচে আসা সবময়ই ভালো। আর প্রথম কথা, আমি তো গুমই চাই না।

গুম থেকে ফিরে আসা বেশি ভয়ংকর বলছিলাম এই যুক্তিতে যে, ফিরিয়ে দেবার মাধ্যমে এই মেসেজ দেয়া হয়, আমি চাইলেই ফিরাইয়া দিতে পারি। আবার চাইলে না দিতে পারতাম, মাইরা ফেলতে পারতাম।

মিজানুর রহমান আটক থেকে ফিরে আসায় তার কিছু কথাবার্তা ফেসবুকে ভাসছে। এইগুলা খেয়াল করবেন। সবগুলাই প্রচ্ছন্ন হুমকি অন্যদের জন্য।

এখন এই সব মেসেজ যাদের মাথায় থাকবে, সে কাজের আগে অগ্র পশ্চাৎ চিন্তা করবে, ফলে তার সাহস থাকবে না। আহমদ শরীফরে একবার জিগান হইছিল আপনার সাহসের উৎস কী, তিনি উত্তরে বলেন, অবিমৃষ্যকারীতা। করার আগে তিনি অত ভাবতেন না। স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিবাদ আন্দোলনের ক্ষেত্রেও দেখবেন এমন হয়। বেশি চিন্তা করাইতে পারলে, আন্দোলন আগেই স্তিমিত করানো যায়।

সাম্প্রতিক কালে (২০২২) মোটামোটি শক্ত এক আন্দোলন ছিল সাস্টের ভিসি সরাও আন্দোলন। এটা যতক্ষণ অবিমৃষ্যকারী স্বতঃস্ফূর্ত ছিল, ততক্ষণ ছাত্রছাত্রীরা সাহস দেখাইছে। জাফর ইকবাল নিয়া গেলেন অনুপ্রেরণার বড়ি, তারা অনুপ্রেরণা পাইল। কিন্তু যখন দেখল সাস্টের ভিসি বদলাইল না, তারা আগের সাহস আর পাইল না। কারণ ঐ সূতা কেটে গেছে। জাফর ইকবাল অনুপ্রেরণার বড়ি দিয়া সময় কিনছিলেন। ওই সময়ে তাদের মাথায় অগ্র পশ্চাৎ চিন্তা খেলা শুরু করছে, ফলে আলটিমেটলি প্রতিবাদের সাহস ফুরাইছে।

মুরাদুল ইসলাম