অন রেইপ, বিবর্তনীয় মনস্তত্ব এবং হিপোক্রিসি

মানুষ রেইপ টেইপ, লুইচ্চামি নিয়া কথা বলতে গেলে প্রথমেই এই অবস্থানে যায় যে, তার এইটা জিন্দেগীতে করার সম্ভাবনাও নাই। এমনকী সে কোনদিন তা নিয়া ফ্যান্টাসীও করে নাই। মানে সে সাধু পুরুষ। এই অবস্থান নিয়াই সে রেইপিস্টদের গালাগালি করে। এটা আসলে হিপোক্রিসি। রেইপিস্টদের গালাগালি নয়, তার নিজেরে বাইরে রাখাটা। কারণ সে সাধু নয়। সে মানুষ এবং তার লুইচ্চামিসহ অন্যান্য ভুলে পতিত হইবার সম্ভাবনাও একেবারে নাই তা নয়। নিরংকুশ ক্ষমতা থাকলে পুরুষ হইয়া আপনে কী করবেন, তাও হিশাবে রাইখেন।

বিবর্তনীয় মনস্তত্ত্বে একটা মত বলে, রেইপ একটা অভিযোজিত বৈশিষ্ট্য, যা ঐ সময়ের কিছু পুরুষের জিনে হামাইছিল। প্রায় একশো হাজার বছর আগে। তখন যারা এই বৈশিষ্ট্য পাইছিল তাদের এডভান্টেজ ছিল যে সম্মত ও অসম্মত পার্টনারদের সাথে তারা মিলিত হইতে পারছে। এবং এর ফলে তাদের সন্তান বেশী হইছে, আর তাদের জিন বেশী ছড়াইছে। সাধু পুরুষ যারা ছিলেন, অর্থাৎ যাদের জিনে এই রেইপ টেন্ডেন্সি ছিল না, তারা এই রেইপওয়ালা জিনের সাথে টিকতে পারেন নাই, ফলে হারাইয়া গেছেন। এই মত বলে, হয়ত আমরা রেইপ জিনওয়ালা পূর্বপুরুষের থেকে আসছি, এবং আমাদের জিনেও এটা আছে।

একইভাবে অপেক্ষাকৃত লুইচ্চা যে ছিল তখনকার দিনে, সেই বেশী সন্তান জন্ম দিতে পারছে। ফলে, তাদেরই উত্তরপুরুষেরা বর্তমানে দুনিয়ায়। এটা সেলফিশ জিনের বয়ান।

বিবর্তনীয় মনস্তত্ত্ব একশো ভাগ সত্য কিছু নয়। আবার হাজার বছর আগে যে জিনিস এডভান্টেজ ছিল, আজ তা বিপদজনক। যেমন, পার্টনাররে সিগনালিং এর জন্য সেলফ হার্মিং টেন্ডেন্সি ইত্যাদি। রেইপও তাই বর্তমানে এই রেইপ জিন তত্ত্বের জন্য কোন অবস্থাতেই গৃহীত হবার মত বিষয় নয়। বর্তমান দিনে তা অপরাধ। কিন্তু ব্যাপারটা বললাম, সাধুদের মনে করাইয়া দিতে, হয়ত আপনারা অত সাধু নন, তাই সাধুগিরি কমাইয়া করেন।

মুরাদুল ইসলাম