অধ্যাপক রাজ্জাক বিষয়ে কয়েকটা কথা বলতে চাই

অধ্যাপক রাজ্জাক বিষয়ে কয়েকটা কথা বলতে চাই।

কথা ১- রাজ্জাক সাহেবের মূল যে অর্জন আমরা পাই তার স্মৃতিচারনামূলক বইতে, দেখা যায় লাস্কির অধীনে পিএইচডি করতে গেছিলেন তিনি এটাই। সবাই এই কথাই গাইতেছেন। এবার ভাবেন লাস্কি কি ছিলেন! বা আদৌ লাস্কি কি তার দেশে এইরূপ পীরমূর্তি পেয়েছিলেন!

কথা-২- রাজ্জাক সাহেব ভার্সিটিতে পড়াইতেন।বিভিন্ন বই পড়া লোক, ফলে পিএইচডি থিসিসে হেল্প করতেন তিনি। এরকম শিক্ষকেরা যুক্তরাজ্যের এইরূপ প্রতিষ্ঠানে (অক্সফোর্ডের কথা বলছিলেন খুব সম্ভবত) থাকতেন, এটা রাজ্জাকের অনুরাগী রেহমান সোবহানের ইংরাজি লেখাতেই আছে, ঐ স্মৃতিচারনার বইতেই। সুতরাং, রাজ্জাক সাহেব ওই ধরনের শিক্ষকমাত্র, যেহেতু তার নিজের বুদ্ধিবৃত্তিক লেখা নাই প্রায়।

কথা-৩- রাজ্জাক সাহেবকে ছফার বইতে, সরদার সাহেবের বইতে বা হুমায়ুন আজাদের সাক্ষাতকারে তেমন গুরুত্বপূর্ন বুদ্ধিজীবী হিসেবেও দেখা যায় না। তবে, তার একটি অবস্থান আছে তা স্পষ্ট বুঝা যায়। লিবারেল সেন্ট্রিস্ট কনজারভেটিভ হতে পারে।

কথা- ৪- ছফার বইতে একের পর এক বইয়ের নাম আছে। বড় লাইব্রেরীর পুরানা লাইব্রেরীয়ানরাও এটা পারেন করতে। পারেন ফেলুদার সিধু জ্যাঠাও। কিন্তু গুগলের সময়ে থাকলে ফেলুদা কি সিধু জ্যাঠার কাছে যাইত? হয়ত যাইত, কিন্তু যত গেছে তার চাইতে অনেক অনেক কম।

কথা-৫- রাজ্জাক সাহেবের ভাতিজা ধনী ও শিল্পানুরাগী না হইলে কি তিনি এত দাম পাইতেন? স্মৃতিচারনার বইও তারাই করছে। এই প্রশ্ন গুরুত্বপূর্ন কারণ হয়ত ধনী ও সাহিত্যে শিল্পে টাকা দেয়া ভাতিজা না থাকায় অনেক রাজ্জাকরে আমরা শাবানা বানাইয়া রাখছি।

কথা-৬- স্মৃতিচারনার বইতে দেখবেন, যারা লেখছেন প্রায় সবাইরেই রাজ্জাক সাহেব টাকা পয়সা দিয়া বা বৃত্তি পাওয়াইয়া দিয়া হেল্প করছেন। এইসব লোকদের কথা বুঝতে এইসব সাহায্য কি বিবেচনায় আসবে না?

কথা-৭ঃ রাজ্জাক সাহেব সম্পর্কে ছফা যে গুরুসূলভ চিত্র আঁকছেন, তা এক শিষ্যের আঁকা ছবি, এটা কি আমরা খেয়াল রাখব না? আর উনি যদ্যপি লাগাইয়া কি উহ্য রাখলেন? আহমদ শরীফ বলেছিলেন, রাজ্জাক সাহেব নিজের লোকদের সুবিধা দিতে আইন ভাঙ্গেন, এই দোষ কি লুকাতে চাইলেন ছফা?

মুরাদুল ইসলাম